পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ইসলামাবাদ থানায় দায়ের করা মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন মার্গাল্লা থানার এরিয়া ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইমরান খান ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালতে হাজির হয়ে অতিরিক্ত দায়রা জজ জেবা চৌধুরীর কাছে ক্ষমা চান। জনসভায় নারী বিচারক জেবা চৌধুরীকে হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান খান।
২০ আগস্ট ইসলামাবাদে একটি সমাবেশের সময়, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান তার সহযোগী শাহবাজ গিলের সঙ্গে ব্যবহারের জন্য শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার হুমকি দেন। শাহবাজ গিলকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
ইমরান খান বিচারক জেবা চৌধুরীকে বলেছিলেন যে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাঁর নিজেকে প্রস্তুত রাখা উচিৎ। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জেবা চৌধুরী শাহবাজ গিলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইমরান খান সমাবেশের সময় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শককে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে তিনি তাকে রেহাই দেবেন না এবং গিলকে অমানবিক নির্যাতনের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার অঙ্গীকার করেছিলেন।
সমাবেশে তার বক্তৃতার কয়েক ঘণ্টা পর, ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পুলিশ, বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। শুক্রবার একই বিষয়ে ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালতে হাজির হন ইমরান খান।
তিনি বিচারককে বলেন, আমি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেবা চৌধুরীর কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। তিনি বলেন, "আপনাকে বিচারক জেবা চৌধুরীকে বলতে হবে যে, ইমরান খান এসেছিলেন এবং আমার কথায় যদি তাঁর অনুভূতিতে আঘাত লাগে তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। " এরপর ইমরান খান আদালত থেকে চলে যান।
শনিবার (অক্টোবর ১) তিনি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেবা চৌধুরীকে হুমকি দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) একটি হলফনামাও দাখিল করেছেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়, তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, ২০ আগস্ট ইসলামাবাদে একটি সার্বজনীন জনসভায় আমি সীমা অতিক্রম করেছেন। এ জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
No comments:
Post a Comment