দিন কয়েকের বৃষ্টি শেষে রোদ উঠতেই চরম ব্যস্ততা মৃৎশিল্পীদের কারখানায়। সামনেই কালী পুজো। মা কালীর মূর্তি তৈরির প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। রবিবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি শহরের অধিকাংশ মৃৎশিল্পীদের মধ্যে দেখা গেল চরম ব্যস্ততা।
জলপাইগুড়ি শহরের দিশারী মোড় এলাকার মৃৎশিল্পী রতন পাল বলেন, আবহাওয়া ভালো রয়েছে, রোদ উঠেছে, তাই জোরকদমে চলছে প্রতিমা তৈরির প্রস্তুতি। অর্ডার হয়েছে, মূর্তি প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাজার ভালোই হবে।
তবে বড়ো ঠাকুরের খুব একটা অর্ডার নেই, বলেও জানান তিনি। কিন্তু মাঝারি ও ছোট প্রতিমার অর্ডার ঠিক হচ্ছে। রোদ উঠলে কাজের সুবিধা হয়। দু'একটা বড়ো প্রতিমাও বানাচ্ছেন এবং কাজের চাপ রয়েছে বলেও জানান রতন বাবু।
মিউনিসিপ্যালিটি মার্কেট এলাকার আরেক মৃৎশিল্পী রঞ্জিত পাল বলেন, অন্যান্য বারের মতো এবারে বাজার ভালো। আবহাওয়া ভালো থাকলে কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। দু'টো বড়ো প্রতিমা তৈরী করছি। পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি প্রতিমা মিলে ৩০টি। অর্ডার আর নিচ্ছি না বলেও জানান রঞ্জিত বাবু।
আরেক মৃৎশিল্পী অনিল পাল বলেন বাজার মোটামুটি ভালো হচ্ছে। একটা বড়ো প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি মাঝারি কয়েকটি প্রতিমা তৈরী করছি। কালীপুজোর আগে আবহাওয়া খারাপ হতে পারে। রোদ উঠলে সুবিধা হয় প্রতিমা তৈরির কাজে। অর্ডার হচ্ছে। পাঁচ দিন আবহাওয়া ভালো থাকলেই হবে প্রতিমা গড়ার ক্ষেত্রে বলে জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment