উৎসবের মরসুম চলছে। আগামী দিনে দীপাবলি, ছট আসছে। এমন পরিস্থিতিতে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এনে তৈরি করা হয়। অনেকে মুনাফার জন্য বাজারে নকল মিষ্টি বিক্রি করেন। এই কালো ব্যবসা শুধু এখানেই নয়, এর বাইরে বাজারে নকল ফল, মাওয়া, দুধ সবই বিক্রি শুরু হয়। অত্যধিক ব্যবহার এবং আসল জিনিসের স্বীকৃতির অভাবের কারণে, মানুষ এটি ক্রয় করে।
নকল মাওয়া
তৈরিতে নিম্নমানের দুধের গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। এতে চুন, চক ও সাদা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। নকল মাওয়া তৈরির সময় দুধে মেশানো হয় ইয়ারিয়া, ডিটারজেন্ট পাউডার ও নিম্নমানের সবজি ঘি। সিন্থেটিক দুধ তৈরি করতে এক লিটার দুধে ওয়াশিং পাউডার, পরিশোধিত তেল, জল মিশিয়ে ২০ লিটার দুধ তৈরি করা হয়। কেউ কেউ মাওয়াতে জলের বুকে, ময়দা বা আলু যোগ করে।
এভাবে আসল মাওয়া চিনুন
নকল মাওয়া চিনতে মাওয়ায় কিছু চিনি দিয়ে গরম করুন, তাতে জল বের হতে শুরু করলে বুঝবেন নকল। বুড়ো আঙুলের নখে মাওয়া ঘষুন, যদি ঘি এর গন্ধ আসে তাহলে মাওয়া আসল। মাওয়ার ট্যাবলেট বানিয়ে নিন, গুলি ফেটে যেতে শুরু করলে বুঝবেন মাওয়া নকল না ভেজাল। এ ছাড়া আসল মাওয়া খেলে কাঁচা দুধের মতো স্বাদ পাওয়া যায়।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন,
সবসময় বড় দোকান থেকে মিষ্টি কিনুন। অনেক রঙের মিষ্টি খাবেন না। মাওয়া কেনার সময় খেয়াল রাখবেন মাওয়া যেন দুই দিনের বেশি পুরনো না হয়।
No comments:
Post a Comment