হিজাব পরা ছাত্রীকে কান দেখাতে বলেন শিক্ষক, ধর্মের ইস্যু তুলে বিক্ষোভ কলেজে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 17 October 2022

হিজাব পরা ছাত্রীকে কান দেখাতে বলেন শিক্ষক, ধর্মের ইস্যু তুলে বিক্ষোভ কলেজে



 একদিকে ইসলামি দেশ ইরানে হিজাবের বিরোধিতা করছেন নারীরা।  অন্যদিকে ভারতে হিজাবের সমর্থনে 'তামাশা' দেখা যাচ্ছে।  বিহারের মুজাফফরনগরে অবস্থিত এমডিডিএম কলেজে পরীক্ষার সময় হিজাব পরা ছাত্রীকে কান দেখাতে বলেন শিক্ষক।



 মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মুজাফফরনগরের মহন্ত দর্শন দাস মহিলা কলেজে সেন্ট আপ পরীক্ষা চলছিল।  এ সময় কয়েকজন ছাত্রী হিজাব পরে বসে ছিল।  একজন শিক্ষক ছাত্রীদের কাছে ব্লুটুথ থাকার সন্দেহ করেন এবং তাদের কান দেখাতে বলেন।  এতে মেয়েরা ক্ষুব্ধ হয়ে কলেজেই তোলপাড় শুরু করে।



 ছাত্রীদের অভিযোগ, পরীক্ষার সময় শিক্ষক শশিভূষণ ছাত্রীদের প্রথমে হিজাব খুলে ফেলতে বলেন।  মুসলিম মেয়েদের যদি বিশ্বাস করা হয়, তাহলে আপত্তিকর মন্তব্য করার পর তারা তাদের দেশবিরোধী বলেছে।  ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক তাদের বলেছেন সেখানে থাকতে, সেখানে গান গাইতে, পাকিস্তানে চলে যেতে।  এরপরই পরীক্ষা না দিয়ে কলেজের বাইরে ছাত্রীরা বিক্ষোভ করে এবং তোলপাড় শুরু করে।


 এমতাবস্থায় কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ কানুপ্রিয়া বলেন, "ছাত্রীদের এই কাজ এখানকার পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র।  এই কলেজের ইতিহাস অনেক পুরনো।  এই মেয়েরা ইন্টারমিডিয়েট।  সবাইকে মোবাইল রেখে ব্লুটুথ খুলে ফেলতে বলা হল।  কিন্তু এরা একে আলাদা বিষয় বানিয়ে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করে তোলপাড় শুরু করে।"



তিনি আরও বলেন, এটা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।  এই  শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও 75% এর কম।  এখন শিক্ষামন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, উপস্থিতি কম থাকা ছাত্রীদের ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না।  এসব লোকজন অহেতুক চাপ সৃষ্টি করছে।  যাতে কলেজ প্রশাসন তাদের সামনে মাথা নত করে।  হিজাব বলে কিছু ছিল না।  যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করছেন, তিনি দেশবিরোধী এবং পাকিস্তানে যাওয়ার মতো কিছু বলেননি।  এই লোকেরা অহেতুক মনগড়া জিনিস তৈরি করে বিষয়টিকে বাড়াবাড়ি করছে।



 এ ক্ষেত্রে স্থানীয় মিঠনপুরা থানার ইনচার্জ এসএইচও শ্রীকান্ত সিনহা জানিয়েছেন, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বর্তমানে ওই এলাকায় মামলা নথিভুক্ত বা অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার প্রয়োজন নেই।  পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad