ছট পর্ব চলছে, সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদনের রীতি রয়েছে এই ছট পুজোয়। ধূমধাম করে ছট পূজা উদযাপন হচ্ছে দেশ জুড়ে। এদিকে এসবের মাঝেই সামনে এল সূর্য দেবের হাসিমুখের ছবি। অবাক হলেন নিশ্চয়ই! আসলে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা সূর্যের এই হাসি মুখের ছবি প্রকাশ করেছে। এটি এই সপ্তাহে মহাকাশ সংস্থার একটি স্যাটেলাইটে ধারণ করা হয়েছে। এই ছবিতে, সূর্যের উপর এমন একটি প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে, যা দেখে সবাই অবাক, মনে হচ্ছে যেন সূর্য হাসছে। এদিকে সূর্যের এই হাসি মুখ নিয়েই সতর্ক বার্তা দিলেন বিজ্ঞানীরা।
ছবিটি শেয়ার করার সময় মহাকাশ সংস্থা এটিকে 'স্মাইলিং সান' অর্থাৎ হাসিখুশি সূর্য বলেছে। এতে আরও বলা হয়, আজ নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি সূর্যকে হাসতে দেখেছে। অতিবেগুনী রশ্মিতে দেখা গেলে, সূর্যের এই অন্ধকার দাগগুলিকে বলা হয় করোনাল হোল। এগুলি এমন এলাকা, যেখান থেকে প্রবল হাওয়া মহাকাশে প্রবাহিত হয়।
নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি মিশন ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে চালু হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য হল কীভাবে সৌর ক্রিয়াকলাপ ঘটছে এবং এটি মহাকাশের আবহাওয়াকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, তা পরীক্ষা করা। এই মিশনের মহাকাশযান সূর্যের অভ্যন্তরীণ গঠন, বায়ুমণ্ডল, চৌম্বক ক্ষেত্র এবং শক্তি উৎপাদন পরিমাপ করে।
ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া আসছে। অনেক আমেরিকান ইউজার এটিকে হ্যালোইন পাম্পকিনের সাথে তুলনা করছেন। অন্যদিকে, আমরা যদি ভারতের কথা বলি, ধর্মীয় আস্থা ও বিশ্বাসে সূর্যের গুরুত্ব রয়েছে, তাই ভারতীয় ইউজাররাও এই ছবিটি খুব পছন্দ করছেন।
কিন্তু এই হাসির ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, সূর্যের করোনাল হোল যেভাবে দেখা যাচ্ছে, তার মানে সূর্য থেকে ঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে স্পেসওয়েদার জানিয়েছে, এই হাস্যোজ্জ্বল সূর্য পৃথিবীর দিকে সৌর বায়ুর এক তৃতীয়াংশ উড়িয়ে দিচ্ছে। সৌর ঝড় হল সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন ধরণের ভর এবং শক্তির বিস্ফোরণ। এগুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে, যার ফলস্বরূপ এই ঝড়গুলি উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধে মেরু আলোকে আরও দৃশ্যমান করে তোলে।
No comments:
Post a Comment