শুধু কলকাতার মানুষই নয়, বিদেশি পর্যটকরাও দুর্গা পূজা উপভোগ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে কলকাতায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেলরাও প্যান্ডেল পরিদর্শন করছেন। কেউ থিম পছন্দ করছেন, আবার কেউ দুর্গা পূজায় মানুষের উৎসাহ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তথ্য ও সংস্কৃতি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে 'বেস্ট ইন দ্য বেস্ট' ক্যাটাগরিতে মোট ৪২টি পূজা প্যান্ডেল, 'বিশেষ চয়ন' ক্যাটাগরিতে ২১টি, 'ইনোভেটিভ আইডিয়াস' ক্যাটাগরিতে ২০টি এবং 'এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি' ক্যাটাগরিতে ১৬টিপ্যান্ডেল নির্বাচন করেছে।
এ প্রসঙ্গে কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল মিলিন্ডা পাভেক ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছেন, এখানকার মানুষের উচ্ছ্বাস দৃশ্যমান। সেই সঙ্গে প্যান্ডেলে করা শিল্পকর্মের যত প্রশংসা করা যায় কম। তিনি বলেন, 'আমি কলকাতার প্যান্ডেলগুলো ঘুরে দেখেছি। কলকাতার বাইরের মহিয়ারী অমর সংঘ ক্লাবও দুর্গা পূজা প্যান্ডেলের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। আন্দুল রাজবাড়ি পরিবারের ২৫২ বছরের পুরোনো বাড়ী পূজা ও অন্নপূর্ণা মন্দির দেখেছেন। এটি একটি দুর্দান্ত উত্সব ছিল, বিশেষত কারণ এই বছর প্যান্ডেলের থিম ময়ূর, যার চেক অর্থ আমার পরিবারের নাম৷
চীনা কনসাল জেনারেল ঝা লিয়াও বলেছেন, তিনি খুবই খুশি। এই বছর গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সাথেই দুর্গা পূজার দিন মিলে যাওয়ায় তাদের উত্সাহ দ্বিগুণ হয়েছে। তিনি বলেন যে, 'আমি কলকাতার মানুষের সাথে একসাথে উদযাপন করেছি কারণ আমার অফিস বছরের পর বছর ধরে অনেক পূজা ক্লাবকে স্পনসর করে আসছে এবং এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। এছাড়াও আমি অন্যান্য বাঙ্গালি বন্ধুদের সাথে কিছু বিখ্যাত প্যান্ডেলের প্রিভিউ, পরিদর্শন এবং বিচারের সাথে জড়িত ছিলাম। এটা ছিল অসাধারন।'
তিনি আরও বলেন, 'এই দুর্গা পূজা সম্পর্কে আমি যা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, তা হল প্যান্ডেলগুলির ডিজাইন এবং এটি তৈরি করার জন্য বাঙালিদের সমস্ত প্রচেষ্টা। অনেক প্যান্ডেলই আশ্চর্যজনক। একই সময়ে, তারা নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং সহজ অ্যাক্সেসকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এগুলো খুব চিত্তাকর্ষক পদ্ধতিতে নির্মিত হয়েছে।'
No comments:
Post a Comment