গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে বিহারে জন সুরজ পদযাত্রার সূচনা করছেন নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত কিশোরের কনভয় পাটনা থেকে মহাত্মা গান্ধীর কর্মস্থল পশ্চিম চম্পারণের ভিতিহারওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। প্রশান্ত কিশোর 3500 কিলোমিটার পায়ে যাত্রা করবেন। পদযাত্রা 15 মাস ধরে চলবে। প্রশান্ত কিশোর বলেন, 3500 কিলোমিটারের জন সুরজ পদযাত্রার উদ্দেশ্য নতুন বিহারের ভিত্তি স্থাপন করা। তিনি বলেন যে তৃণমূল স্তরের মানুষের সাথে সংলাপের মাধ্যমে বেকারত্ব, অভিবাসন, কৃষি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মতো ইস্যুতে 15 বছরের জন্য পঞ্চায়েত স্তরে বিহারের উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
জনসুরাজের সাথে যুক্ত প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এসকে মিশ্র শনিবার বলেন যে প্রশান্ত কিশোর একটি ভাল চিন্তাভাবনা এবং শৃঙ্খলা নিয়ে পদযাত্রা শুরু করছেন। প্রশান্ত কিশোরের ভাবনা ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা, যার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা যায়। এসকে মিশ্র বলেন যে প্রশান্ত কিশোর ভাল চিন্তাশীল ব্যক্তিকে খুঁজে পাবেন এবং তাদের অনুপ্রাণিত করবেন, যাতে তারা বিহারকে একটি ভাল রাজ্যে পরিণত করতে সহায়তা করতে পারে। 2 অক্টোবর ভিতিহারওয়া গান্ধী আশ্রমে পৌঁছানোর পর তিনি প্রথমে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর ঐতিহাসিক গান্ধী আশ্রমের সামনের মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের সম্মান জানানো হবে। এসময় তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে ভাষণও দেবেন। তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানাতে ভিটিহারওয়া ও গৌনাহ পর্যন্ত স্থানে স্থানে তৈরি করা হয়েছে তোরনা গেট। ডাকাত যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে গৌনহা ও যমুনিয়ায়।
জন সুরজ পদযাত্রার আগে একটি বার্তা জারি করে প্রশান্ত কিশোর বলেন যে বিহার স্বাধীনতার 75 বছর পরেও সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্য। দারিদ্র, নিরক্ষরতা, বেকারত্ব ও দুর্নীতির কারণে মানুষের অবস্থা খারাপ। পদযাত্রার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিহারের মানুষকে তৃণমূল পর্যায়ে সাহায্য করাই এই পদযাত্রার মূল উদ্দেশ্য। সংলাপের মাধ্যমে জনগণের সমস্যা জানা। বিহারের জনগণের জন্য আগামী 15 বছরের উন্নয়নের একটি রূপকল্প বিহারের উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
No comments:
Post a Comment