ব্যবসায়ীর বাড়িতে গুপ্তধন! উদ্ধার কোটি কোটি নগদ সহ গয়না-ল্যাপটপ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 17 October 2022

ব্যবসায়ীর বাড়িতে গুপ্তধন! উদ্ধার কোটি কোটি নগদ সহ গয়না-ল্যাপটপ



রবিবারের পর সোমবারও হাওড়ায় দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি অভিযান। দুই দিনে উদ্ধার হয়েছে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। রবিবার সকালে হাওড়ার মন্দিরতলার প্রকাশ মুখার্জি লেনের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়। সেই সঙ্গে শৈলেশ পাণ্ডে ও তাঁর ভাই অরবিন্দ পাণ্ডের বাড়িতে তিনবার হানা দিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকাল পর্যন্ত অভিযানে সোনা ও হীরার গয়নাসহ বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। দুই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে দুটি ল্যাপটপ, একটি টেবিল ও বেশ কিছু ব্যাংকের নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।


ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে, একটি বেসরকারী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হচ্ছে। এই সন্দেহের ভিত্তিতে ওই অ্যাকাউন্টের মালিক হাওড়ার ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডেকে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এর ভিত্তিতে রবিবার শিবপুরে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।


রবিবার হেয়ার স্ট্রিট থানা ও শিবপুর থানার পুলিশ প্রথমে একটি বাসভবনে রাখা গাড়ির ভিতর থেকে ২ কোটি ২০ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং সোনা, রূপা ও হীরার গয়না উদ্ধার করে। এরপর হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ শিবপুর পুলিশের সহায়তায় ব্যাংক জালিয়াতি প্রতিরোধ শাখার পুলিশ শৈলেশ পাণ্ডের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। রবিবার রাতে, দরজার তালা ভেঙে পুলিশ শৈলেশ পাণ্ডে এবং তাঁর ভাই অরবিন্দ পাণ্ডের ৩৬ নম্বর প্রকাশ মুখার্জি লেনের বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। সেখানেও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা পাওয়া গেছে। জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট থেকে ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বক্স খাটে একাধিক ব্যাগে রাখা ছিল এই টাকা। সোমবার সকালে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৫ লাখ। প্রচুর গয়নাও উদ্ধার হয়েছে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, শিবপুরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। তাদের সহায়তা করে শিবপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। বেসরকারী ব্যাঙ্কগুলিতে শৈলেশ পাণ্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শৈলেশের দুটি অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনলাইন বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তকে খুঁজছে এবং এত বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস কী তা জানার চেষ্টা করছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad