প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এই বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশে প্রায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেক জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঝড়ের কবলে পড়ে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। এখন এই ঘূর্ণিঝড় ভারতে আঘাত হেনেছে, যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড় ও বৃষ্টিতে আসামের ৮০টিরও বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া দফতর উত্তর-পূর্বের চারটি রাজ্যের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে, সেই সঙ্গে উদ্ধারকারী দলগুলিকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রথমে বাংলাদেশের কথা বললে, এখানে সিত্রাং তার ভয়ঙ্কর রঙ দেখিয়ে সামনে আসা সবকিছুকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখানে ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে ৬ হাজার হেক্টরের বেশি ফসল বিনষ্ট হয়েছে, হাজার হাজার মাছ ধরার প্রকল্প ধ্বংস হয়েছে এবং ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। বিপজ্জনক এই ঝড়টি বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। এরপর প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়।
বর্তমানে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি এই ঝড়ের ঝুঁকিতে রয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখানকার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের। বরগুনা, নরেল, সিরাজগঞ্জ ও ভোল জেলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
আমাদের কিছু রাজ্যও এই বিধ্বংসী ঝড়ের কবলে পড়তে পারে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় এই ঝড় বিপর্যস্ত হতে পারে। ভারতে ঝড়ের জেরে আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আসামে, ভারী বর্ষণ ও ঝড়ের কারণে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে শত শত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বিহারেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিহারের অনেক জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানার সময় দুর্বল হয়ে পড়বে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই রাজ্যগুলি ছাড়াও মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কেরালায়ও বৃষ্টি হতে পারে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের জেডির আওতায় আসা সমস্ত রাজ্য এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফ ও স্থানীয় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
No comments:
Post a Comment