চার্জশিটে পার্থর নাম রাখার অনুমতি দেয় নি রাজ্য! দাবী সিবিআইয়ের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 1 October 2022

চার্জশিটে পার্থর নাম রাখার অনুমতি দেয় নি রাজ্য! দাবী সিবিআইয়ের



 এসএসসি গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, রাজ্য সরকার এখনও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পাঁচজন বর্তমান ও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারীর নাম চার্জশিটে  দেয়নি।  এমনটাই দাবী সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) একটি সূত্রের।  সিবিআই সূত্রের খবর, এই অনুমতির জন্য প্রথমে রাজ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল, যার এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সিবিআই শুক্রবার আলিপুর আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ 16 জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল, কিন্তু এখন এই বিষয়ে আইনি বাধা তৈরি হয়েছে।



 দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের 19 ধারা অনুসারে, কোনও রাজ্য সরকারী কর্মচারী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করতে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন।

 

 

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আইনের এই ধারার ভিত্তিতে এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগের মামলায় পার্থ সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করার জন্য কয়েক সপ্তাহ আগে রাজ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তবে সিবিআই সূত্র দাবী করেছে যে তাদের কেউ নেই। উত্তর আসেনি।




শুক্রবার সিবিআই গ্রুপ-সি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে।  পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও এতে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।  তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যশিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সমরজিৎ আচার্য, মধ্যশিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি সৌমিত্র সরকার, অশোক কুমার সাহা, অ্যাড-হক কমিটির চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।  অভিযুক্তদের মধ্যে দীপঙ্কর ঘোষ, সুব্রত খান, অক্ষয় মণি, সমরেশ মণ্ডল, সৌম্য কান্তি মৃধ্য, অভিজিৎ দলুই, সুকান্ত মল্লিক, ইদ্রিস আলি মুল্লা, অজিত বার, ফরিদ হুসেন কাসকারকে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।  সিবিআই সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ, অশোক, কল্যাণময়, সৌমিত্র এবং সমরজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য রাজ্যের অনুমতি চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল।


 

 এমতাবস্থায় সিবিআই-এর দেওয়া চার্জশিট আদালতে গৃহীত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  কলকাতা হাইকোর্টের একজন আইনজীবী বলেছেন, "সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অনুমতি না দিলেও একজন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা যেতে পারে, তবে এমন পরিস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম স্থবির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"  উল্টো যুক্তি দিচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের আরেক আইনজীবী।  তার কথায়, “এটা নির্ভর করে মামলার ওপর।  যেহেতু এই মামলায় অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ সরাসরি প্রমাণিত, তাই এক্ষেত্রে অনুমতির প্রয়োজন নেই।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad