আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শুনানি হবে। যার মধ্যে সব ধর্মে বিবাহবিচ্ছেদের সমান ব্যবস্থার আবেদনও রয়েছে। এই আবেদনে দাবী করা হয়েছে, দেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে একটিই নিয়ম থাকা উচিৎ। এ ছাড়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবীতে করা আবেদনেরও শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও সরকার ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমানে এ বিষয়ে আইন আনার কোনও বিবেচনা করা হচ্ছে না। উভয় মামলায় ইতিমধ্যেই আদালত নোটিশ জারি করেছে।
সব ধর্মে বিবাহবিচ্ছেদের অভিন্ন ব্যবস্থার দাবীতে করা আবেদনের ওপর সুপ্রিম কোর্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হতে চলেছে। এর পাশাপাশি, আদালত বিবাহের অভিন্ন বয়স, সন্তান দত্তক নেওয়া, সমস্ত ধর্মের জন্য অভিন্ন ইচ্ছার নিয়মের আবেদনেরও শুনানি করবে। এর মধ্যে বেশিরভাগ আবেদনের বিষয়ে ইতিমধ্যেই নোটিশ জারি করেছে আদালত। এই পিটিশনগুলিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে উত্তর চাওয়া হয়েছে, আবেদনের জবাব দেওয়ার সময় কেন্দ্র বলেছে যে এই সমস্ত বিষয় এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিষয়টি নীতি। আদালতের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিৎ নয়। সরকার বিষয়টি আইন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করবে। আপাতত দেখতে হবে, আদালত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নেয় কি না বা এ বিষয়ে শুনানি চলবে কি না।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশজুড়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। এ বিষয়ে কঠোর আইন করার কথা রয়েছে। মোহন ভাগবত সহ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সমস্ত আধিকারিকরা তাদের বক্তৃতায় এটি উল্লেখ করেছেন। এখন এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন বিচারাধীন, যার শুনানি হবে আজ।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এসব আবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে জনগণকে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। সেজন্য দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই আবেদনের জবাবে কেন্দ্র বলেছে যে পরিবার পরিকল্পনা বাধ্যতামূলক করার আইন করার পক্ষে নয়। পরিবার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী স্বেচ্ছায় রাখাই উত্তম হবে। সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কারণ বিষয়টি আইন প্রণয়নের বিষয়, এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment