গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণার আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে যে আবেদনকারী পিটিশন দাখিল করেছেন তাকেও কড়া ভর্ৎসনা আদালতের। শীর্ষ আদালত বলেছে, জাতীয় পশু ঘোষণা করা কি আদালতের কাজ? আদালত আবেদনকারীর কাছে আরও জানতে চেয়েছেন, এতে কার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে? বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউলের বেঞ্চের সামনে আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, "সরকার গরু রক্ষার কথা বলে। ভারত সরকারের জন্য গরু সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গরু থেকে সব পাই।"
আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতকে এই দিক বিবেচনা করার জন্য সরকারকে নির্দেশ জারি করতে বলেছিলেন। জানা গেছে, গত বছর একটি মামলার শুনানি শেষে এলাহাবাদ হাইকোর্ট গরুর অবস্থা এবং গোহত্যার ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করে সংসদে বিল আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিল আদালত। আদালত বলেছিল, গরুর সুরক্ষা হিন্দুদের মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিৎ।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, গরুকে কোনও এক ধর্মের আওতার মধ্যে আবদ্ধ করা যাবে না। এটি ভারতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আদালত আরও বলেছিল যে প্রত্যেক ভারতীয়র দায়িত্ব তার সংস্কৃতি রক্ষা করা। শুধু স্বাদ পাওয়ার জন্য মেরে তা খাওয়ার অধিকার কাউকে দেওয়া যাবে না। হাইকোর্ট বলেছিল, গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করতে হবে এবং গোরক্ষাকে হিন্দুদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে রাখতে হবে। কারণ দেশের বিশ্বাস ও সংস্কৃতিতে আঘাত লাগলে তা দেশকে দুর্বল করে দেয়।
No comments:
Post a Comment