কুড়ি টিআরএস বিধায়ককে কেনার চেষ্টা করা হয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। গত সপ্তাহে তেলেঙ্গানার একটি খামারবাড়ির ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি রবিবার এই দাবী করেন। এর সাথে, কেসিআর বিধায়কদের প্রশংসা করেছেন, যারা ১উ কোটি টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। মুনুগোড় উপনির্বাচনের আগে এসব কথা বলেন কেসিআর।
কেসিআর মুনুগোড়ে একটি সমাবেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, হায়দরাবাদের চারজন বিধায়ক আমার সঙ্গে এসেছেন। এরা আমার চারজন বিধায়ক যারা কোটি টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্নও করেন কেসিআর। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জিজ্ঞেস করি, কেন এই নিষ্ঠুরতা? আর কত শক্তি লাগবে? কেসিআর বলেন, আপনি দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। এরপরও কেন সরকার পতন করছেন?
কেসিআর বলেন যে, তিনি প্রতিটি বিধায়ককে ১০০ কোটি টাকায় কেনার জন্য দালাল পাঠিয়েছেন। তারা ২০-২০ জন বিধায়ক কিনতে চেয়েছিল এবং কেসিআরের সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিল। পাশাপাশি তেলেঙ্গানা আক্রমণ করতে চেয়েছিল, যাতে তারা তাদের ইচ্ছামতো বেসরকারীকরণ বাস্তবায়ন করতে পারে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে এই ইস্যুতে মানুষের চুপ থাকা উচিৎ নয়। ভোট দেওয়ার আগে তাদের ভাবতে হবে। মুনুগোড়ে তাঁতিদের উদ্দেশ্যে কেসিআর বলেন যে, 'দেশের ইতিহাসে প্রথমবার তাঁতের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের শাস্তি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, এই সময়ে বিজেপিকে সাপের সঙ্গেও তুলনা করে বসেন কেসিআর।
চার টিআরএস বিধায়ককে 'প্রলোভন' দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য তিনজনকে গ্রেফতার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর একদিন পরে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি এসেছে। জনসভায় চার বিধায়ককে প্যারেড করিয়েছিলেন রাও। ২৬ অক্টোবর রাতে রামচন্দ্র ভারতী ওরফে সতীশ শর্মা, নন্দ কুমার এবং সিমহায়াজি স্বামীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন প্রাসঙ্গিক ধারা এবং ঘুষ দেওয়ার জন্য ১৯৮৮ বিধানের অধীনে টিআরএস বিধায়ক পি রোহিত রেড্ডির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
এফআইআর-এর অনুলিপি অনুসারে, রোহিত রেড্ডি অভিযোগ করেছেন যে, অভিযুক্তরা তাকে ১০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয় এবং বিনিময়ে বিধায়ককে টিআরএস ছেড়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দিয়েছিল।
No comments:
Post a Comment