মধ্যরাতে পুলিশি অভিযান, টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হল ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের। কার্যত চ্যাংদোলা করে অনশনকারীদের তুলে দেওয়া হয়। এমনকি, কয়েকজনকে ঘুষি মারার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ধুন্ধুমার করুণাময়ী।আরও অভিযোগ আন্দোলনকারী ৩ জন নিখোঁজ, যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
আটক চাকরিপ্রার্থীদের সকালে পুলিশ বাসে করে শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে নামিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও তারা পিছু হটতে রাজি নয়। আজ ভোরে, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির নীচে টেট ২০১৪-এর একদল উত্তীর্ণরা তাদের অবস্থানে ফিরে আসেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। আন্দোলনরত নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। তাঁদের প্রশ্ন হল, শিয়ালদহ ও হাওড়া থানা চত্বরে মহিলা কর্মীদের ভোররাতে কীভাবে ছেড়ে দিল পুলিশ? তাদের নিরাপত্তা কে দেখবে?
অন্যদিকে, ২০১৭ সালের চাকরি প্রত্যাশীরা সল্টলেকের ১০ নম্বর ট্যাঙ্কির কাছে অবস্থান করছিলেন। গতকাল রাত ২টার দিকে পুলিশের অভিযানও হয়। পুলিশ কয়েকজনকে বুঝিয়ে গাড়িতে তুলে নেয়, বাকিদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রাতেই পুলিশ তাদের ধর্মতলা বাস টার্মিনাস, শিয়ালদহ স্টেশন এবং হাওড়া স্টেশনে নিয়ে আসে। ২০১৭ সালের চাকরি প্রত্যাশীরা প্রশ্ন তুলেছেন যে কীভাবে পুলিশ তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে সেই রাতে স্টেশন, বাস টার্মিনাসে মহিলা কর্মীদের নামিয়ে দিয়েছিল।
No comments:
Post a Comment