এক অভিনব সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হল ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কুলিয়া গ্রামে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই শিবির করা হয়।
বাগদার হেলেঞ্চাতে ধুমধাম করে কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বাগদা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কালী পুজো দেখতে হেলেঞ্চাতে ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা। কালী পুজোর সময় গ্রামে বেশি লোক না থাকায় বিভিন্ন গ্রাম অরক্ষিত হয়ে পড়ে, ফলে চুরির প্রবণতাও বাড়ে। তাই কালী পুজোর আগে থেকেই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বাগদা থানার পক্ষ থেকে বাগদা থানার ওসি উৎপল সাহা রবিবার দুপুরে কুলিয়া গ্রামে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কুলিয়া গ্রামের বৈঠক থেকে বাগদা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক উৎপল সাহা সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, 'পুরো গ্রাম খালি করে কালী পুজো দেখতে যাবেন না। রাতের বেলায় গ্রাম পাহারা দেওয়ার জন্য আরজি পার্টি অর্থাৎ গ্রাম রক্ষা কমিটি তৈরি করুন। আরজি পার্টি বা গ্রাম রক্ষা কমিটি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে গ্রাম পাহারা দেবে। পুজোর পাঁচ দিনের জন্য গ্রামে পাঁচটি আরজি পার্টি গঠনের কথা বলেন তিনি, প্রতিটি টিমে ১০ জন করে সদস্য থাকবে। এই পাঁচটি কমিটি পুজোর পাঁচ দিন আলাদা আলাদা করে পাহারার কাজ করবে।
ঘুরিয়া গ্রামে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সচেতনতা মূলক শিবিরের আয়োজন করা হয়, সেই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রনঘাট অঞ্চলের উপপ্রধান সম্রাট মন্ডল। এদিনের এই সভা সম্পর্কে তিনি বলেন, "বাগদা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালী পুজোর সময় এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম রুখতে গ্রাম রক্ষা কমিটির গঠনের পরামর্শ দেওয়া হল। পুলিশ প্রশাসনের এরূপ ভূমিকায় আমরা সকলে খুশি।"
পুলিশ প্রশাসনের এই অভিনব উদ্যোগে খুশি হয়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষও। এই বিষয়ে অর্ঘ্য নাথ নামে কুলিয়া গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, "বাগদা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ আমাদের কুলিয়া গ্রামে একটি সচেতনতামূলক শিবির করা হয়। যেহেতু আমাদের সীমান্তবর্তী গ্রাম, কালী পুজোর সময় অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকা গ্রামে বিভিন্ন রকমের অসামাজিক কাজকর্ম ঘটে। সেই সব বিষয়ে গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে এবং গ্রাম পাহারা দেওয়ার জন্য গ্রাম রক্ষা কমিটি গঠনের পরামর্শ দেয় পুলিশ।"
No comments:
Post a Comment