দুধ এবং ডিম এড়িয়ে চলুন, এই সস্তা জিনিসটিকে ডায়েটের অংশ করুন

বর্তমান যুগে খারাপ জীবনযাত্রার কারণে মানুষকে অনেক কঠিন রোগের সম্মুখীন হতে হয়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অধিকাংশ মানুষের পরিপাকতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করেছে। দুর্বল পরিপাকতন্ত্র বদহজম এবং স্থূলতার মতো অনেক রোগের জন্ম দেয়। যার কারণে মানুষের ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন চিনাবাদাম খেলে শরীরের মেটাবলিজম ঠিক থাকে। এর ফলে শরীর শক্তি পায় এবং শরীরের চর্বিও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। 

চিনাবাদামে অনেক উপকারী উপাদান পাওয়া যায়

 প্রোটিনের পরিমাণ দুধ এবং ডিমের চেয়ে চিনাবাদামে বেশি পাওয়া যায়। চিনাবাদামেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যালসিয়াম, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে পাওয়া ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে।

1. একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে চিনাবাদাম মহিলাদের টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। চীনাবাদাম কম গ্লাইসেমিক খাবারের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে মানুষের রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় থাকে।

2. স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে চিনাবাদাম শরীরের ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম এবং এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এর পাশাপাশি এটি শরীরে দুর্বলতাও দেয় না।

3. চিনাবাদাম একটি অ্যান্টি-এজিং হিসাবেও খুব কার্যকর প্রমাণিত হয়। আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চিনাবাদাম সহ বাদাম খান তবে এটি আপনার বার্ধক্য কমায়। এটি মনকে তীক্ষ্ণ করতেও সাহায্য করে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এর সকল সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে একে 'গরিবের বাদাম' বলা হয়েছে। এতে বাদামের মতো একই পুষ্টি রয়েছে।

রাতে ঘুমানোর আগে চীনাবাদাম জলে ভিজিয়ে রেখে দিন। এর পর জলখাবারে যোগ করুন।  এটি হজম হতে বেশি সময় লাগে বলে রাতে খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।