টিভি অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্করের আত্মহত্যা টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। সুইসাইড নোটে বৈশালী জানিয়েছেন যে রাহুল নবলানি তাকে হেনস্থা করছিলেন। রাহুল বৈশালীর প্রতিবেশী ছিল। পুলিশ রাহুলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে। রাহুল এবং বৈশালীর সম্পর্কের বিষয়ে নতুন বিবরণও সামনে এসেছে।
তেজা নগর থানার এসএইচও জানিয়েছেন, রাহুল এখন পুলিশের হেফাজত থেকে পলাতক। তার খোঁজ চলছে। রাহুল ও বৈশালীর সম্পর্ক ছিল। অভিনেত্রীকে জীবনে এগোতে দিচ্ছিলেন না রাহুল। রাহুল বৈশালীকে বিয়ে করতে দিচ্ছিল না। বৈশালীর পুরো পরিবার বিষয়টি জানত। পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে দাবী করা হয়েছে যে রাহুল বৈশালীকে নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ায়। অভিনেত্রীর ভাবী স্বামীকে জানান তাঁর ও বৈশালীর সম্পর্কের কথা।
পুলিশ শুধু রাহুল নয়, তার স্ত্রী দিশার বিরুদ্ধেও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে। এর আগেও বৈশালী ঠক্করের বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন রাহুল নাভলানি। এতে সাফল্যও পেয়েছেন রাহুল। তথ্য অনুযায়ী, রাহুল অভিনেত্রীর ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছিলেন বৈশালীর ডেন্টিস্ট বাগদত্তাকে। এরপর বৈশালীর বাগদান ভেঙ্গে যায়।
এত কিছুর পর, যখন বৈশালীর পরিবার আবার তাদের মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চায়, তখন রাহুল আবারও সেই পুরনো কৌশল ব্যবহার করে সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করে (বৈশালীর ছবি-ভিডিও পাঠানো)। সম্ভবত বৈশালী এবার রাহুলের এই অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যার মতো বড় পদক্ষেপ নিয়ে নিজের জীবন শেষ করেছে।
বৈশালীর বন্ধু বিকাশ শেঠি এবং তার স্ত্রী জাহ্নবী রানা জানিয়েছেন, অভিনেত্রী শীঘ্রই ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থায়ী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মিতেশকে বিয়ে করতে চলেছেন। মুম্বাইয়ে শপিং করতে যাচ্ছিলেন বৈশালী। বিয়ে নিয়ে বৈশালী খুব খুশি ছিল। খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর বৈশালীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
সুইসাইড নোটে রাহুলের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বৈশালী। মা-বাবা ও ভাবী স্বামী মিতেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সুইসাইড নোটে লেখা আছে- "তোমাদের ভালোবাসি বাবা মা। আমি দুঃখিত আমি ভালো মেয়ে হতে পারিনি। দয়া করে রাহুল ও তার পরিবারকে শাস্তি দিন। মানসিকভাবে, রাহুল এবং দিশা আমাকে আড়াই বছর ধরে নির্যাতন করেছিল। ওরা শাস্তি না পেলে আমার আত্মা শান্তি পাবে না। মিতেশকে বলো, আমি দুঃখিত। আমি ছেরে দিলাম।" বৈশালীর ভক্তরা তার বিচার দাবী করছেন।
No comments:
Post a Comment