দীপাবলির রাতে আতশবাজি জ্বালানো নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল গুজরাটের ভাদোদরায়। এই সংঘর্ষে পাথর বৃষ্টি, এমনকি সহিংসতাকারীরা দোকানপাট ভাংচুর ও গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এও অভিযোগ, সহিংসতার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, তাদের লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমাও ছোঁড়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ভাদোদরার পানিগেট এলাকায়। পুলিশ বলছে, দুষ্কৃতকারীরা শহরের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।
দীপাবলির রাতে ভাদোদরায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়। পানিগেট এলাকায় পাথর নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাও হয়। সহিংসতার ঘটনা ঘটে পানিগেটের হরনখানা রোড এলাকায়। লক্ষণীয় বিষয় হল, সামান্য বিরোধের জের ধরে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং দুদিক থেকেই প্রচণ্ড পাথর ছোঁড়াছুড়ি হয়। উত্তেজিত জনতা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দোকানপাট ভাঙচুর করে, এমনকি পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমাও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুরো এলাকায় ছলছে পুলিশি টহল।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার কিছু লোক মুসলিম হাসপাতালের কাছে আতশবাজি পোড়াচ্ছিল। এ সময় অপর পক্ষের লোকজন আপত্তি জানালে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর পর উভয় পক্ষের লোকজন নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকজনকে ডেকে নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি ও পাথর ছোঁড়া শুরু হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রায় এক ডজন লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ এখনও আহতদের বিষয়ে নিশ্চিত করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সময় পেট্রোল বোমা হামলাও হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তেজিত জনতা বহু দোকান ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ফায়ার ব্রিগেড দল সারারাত অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ত্রাণ কাজ করে।
এক পুলিশ কর্তা বলেন, 'আমরা পাথর ছোঁড়ার খবর পেয়েছি। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা পাথর ছুঁড়েছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী আছে, তারা সহিংসতাকারীদের শনাক্ত করবে। এছাড়াও, এলাকায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজগুলিও খতিয়ে দেখা হবে, যার সাহায্যে পাথর ছোঁড়াকারীদের চিহ্নিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। তারা শহরের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছে। এটা হতে দেওয়া যাবে না। পেট্রোল বোমা হামলায় একজন আধিকারিক অল্পের জন্য রক্ষা পান।
No comments:
Post a Comment