কোনও মহিলার পোশাক তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার লাইসেন্স হতে পারে না এবং না তো এটি এমন অপরাধ করা ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার কারণ হতে পারে। এমনই মন্তব্য করল কেরল হাইকোর্ট।
বিচারপতি কাউসার ইদাপ্পাগাথ বলেন, "একজন মহিলাকে তার পোশাকের ভিত্তিতে বিচার করা ন্যায্য হতে পারে না এবং এটি ধরে নেওয়া উচিৎ নয় যে, মহিলারা কেবল পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পোশাক পরেন।"
বিচারপতি তার ১৩ অক্টোবরের আদেশে বলেছেন- 'একজন মহিলাকে তার পোশাক দিয়ে বিচার করার কোনও কারণ নেই। যে নিয়মগুলি মহিলাদের পোশাক এবং অভিব্যক্তির ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করে তা কখনই সহ্য করা যায় না। এটা বলা যাবে না যে, মহিলারা শুধুমাত্র পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পোশাক পরে। শুধু উস্কানিমূলক পোশাক পরার কারণে একজন মহিলাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে, তা বলাও ভুল।'
আদালত তার আদেশে বলেছে, "কোনও মহিলার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে কোনও অভিযুক্তকে দোষমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মহিলার যৌন উত্তেজক পোশাককে আইনগত ভিত্তি হিসাবে নেওয়া যাবে না। যে কোনও পোশাক পরার অধিকার ভারতের সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার একটি স্বাভাবিক প্রসারণ। এমনকি যদি একজন মহিলা যৌন উত্তেজক পোশাক পরেন, তবে এটি কোনও পুরুষকে তার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করার লাইসেন্স দেয় না।"
একটি দায়রা আদালত যৌন হয়রানির মামলায় লেখক এবং সামাজিক কর্মী 'সিভিক' চন্দ্রনকে দেওয়া আগাম জামিনে বলা হয় যে, যেহেতু ভিকটিম যৌন উত্তেজক পোশাক পরেছিল, তাই চন্দ্রনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অপরাধ হয় না। দায়রা আদালতের এই মন্তব্য আদেশ থেকে বাদ দেন হাইকোর্ট।
No comments:
Post a Comment