দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতার জেরে রবিবার মোমিনপুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সহিংসতায় উত্তেজিত জনতা যানবাহন ভাংচুর ও পাথর ছুঁড়ছে থাকে। মোমিনপুরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর, বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান অমিত মালভিয়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনামলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সাধারণ হয়ে উঠেছে। 1946 সালের নোয়াখালী দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে অমিত বলেন, “যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না তারা এর পুনরাবৃত্তি করবে”। তিনি একই দিনে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনার মধ্যে তুলনা করেছেন, যখন হিন্দুরা 'কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা' বা শারদ পূর্ণিমা উদযাপন করে।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার বিষয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেন এবং অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডাঃ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আজ মোমিনপুরে তার উৎসব পালন করতে গিয়ে শান্তিপ্রিয় সম্প্রদায় তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।"
অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার আরেকটি ট্যুইটে লিখেছেন, "ময়ূরভঞ্জ, কলকাতা বন্দরে হিন্দুরা চলে যাচ্ছে, তাদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে। পুলিশ নীরবে দেখছে, আইনশৃঙ্খলা নেই। পরিস্থিতি গুরুতর কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের কষ্ট দেখতে পাচ্ছেন না।" সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইট রিট্যুইট করে অমিত মালভিয়াও লিখেছেন। মোমিনপুরের বাসিন্দারা সহিংসতার শিকার হলে ইকবালপুর থানা পুলিশ থানা ছেড়ে চলে যায়। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কীভাবে এবং কী কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সে বিষয়ে আধিকারিকরা এখন পর্যন্ত কোনও কারণ জানাননি।
জানা গেছে, মিলাদ-উন-নবী উপলক্ষে হঠাৎ করেই মোমিনপুরের ইকবালপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং পরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। ভাংচুর চালায় বেশ কয়েকটি দোকানা। অনেক জায়গায় পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর পুরো এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ) মোতায়েন করা হয়।
No comments:
Post a Comment