রাজ্যজুড়ে চলছে মহাষষ্ঠী পূজা। এই পুজোর মধ্যেই হুগলি জেলার সিঙ্গুরে পৌঁছান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। টাটা ন্যানো গাড়ির কারখানা সিঙ্গুরে তৈরি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের কারণে এই কারখানা তৈরি করা সম্ভব হয়নি এবং কারখানাটি সিঙ্গুর থেকে গুজরাটে স্থানান্তর করা হয়। দিলীপ ঘোষ জানান, "টাটার কারখানা কোথায় হবে। সেখানে এখন ইচ্ছার ফুল ফুটেছে।"
দিলীপ ঘোষ বলেন, "টাটার ন্যানো যেখানে হওয়ার কথা ছিল। দিদি সেই ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে কাশ ইন্ডাস্ট্রি শুরু করেছেন। শোনা যাচ্ছে, এর ফলে বালিশ শিল্প গড়ে উঠবে এবং রাজ্য তা থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করবে।"
দিলীপ ঘোষ জানান, "সিঙ্গুরে চারিদিকে কাশ ফুল। কাশ বন আছে এবং ব্যাঙ আছে। তারা জানে না যে মানুষ যখন জমি দিয়েছে তারা কল্পনাও করেনি যে এই জায়গায় কোনও শিল্প এবং কোনও চাষের জমি থাকবে না। সারা বাংলায় যখন দুর্গা পূজা পালিত হয়। এ সময় অস্থায়ীদের স্থায়ী করার দাবীতে বিক্ষোভ করছেন এসএসসি শিক্ষার্থীরা।" দিলীপ ঘোষ বলেন, “সরকার টাটা কারখানা বন্ধ করে ভোট নিয়ে এখানে এসেছে, সরকার এখানে কী করেছে? শিল্প নেই, কৃষি নেই। শুধু কাশ ফুল আছে। সেই কাশ ফুল দেখে পুজো করছেন সিঙ্গুরের মানুষ। কথা হচ্ছে ঘুগনি-মুড়ি শিল্প নিয়ে। বাংলা কি এগোবে?"
বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে রাজ্যে ক্ষমতায় গেলে তারা সিঙ্গুরে শিল্প স্থাপন করবে। দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা সারা দেশে ইন্ডাস্ট্রি করেছি। সিঙ্গুর থেকে গুজরাটে গিয়েছে ন্যানো। ন্যানো তৈরি হয়েছিল কারণ সেখানে বিজেপি শাসন করছিল। সঠিকভাবে বাজার দখল না করেই ন্যানো উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে গুজরাটের সানন্দে কারখানা বন্ধ হয়নি। সেই কারখানা থেকেই ব্যাটারি চালিত গাড়ি তৈরি করছে টাটা মোটরস।" এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখানে কোনও ন্যানো কারখানা ছিল না, অন্য কোনও শিল্প হতে পারত। চাকরি ও ব্যবসা হবে এই আশায় মানুষ তিন ফসলি জমি দিয়েছে। কিছুই ঘটেনি। জমি নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে ফসল। জমির সদ্ব্যবহার করা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।”
No comments:
Post a Comment