অভিযুক্ত কাশির সিরাপ নিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রকাশ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 6 October 2022

অভিযুক্ত কাশির সিরাপ নিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রকাশ


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভারতের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির বিষয়ে বুধবার (৫ অক্টোবর) সতর্কতা জারি করেছে। গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর পরে, WHO বলেছে যে, ভারতে তৈরি চারটি সর্দিকাশির সিরাপ শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। এই সিরাপগুলি ভারতের মেডিন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি তৈরি করে। এরপরই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।


ডব্লিউএইচওর মতে, এই ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ক্ষেত্রেও একই নমুনা প্রকাশ পেয়েছে। তাদের সবার বয়স ৫ বছরের নিচে, যারা কাশির সিরাপ খাওয়ার ৩ থেকে ৫ দিন পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি বলা হয়, চারটি কাশির সিরাপেই ডায়েথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পিতমপুরা অফিসে গিয়ে সর্বভারতীয় বেসরকারি সংবাদমাধ্যম তার পক্ষ জানার চেষ্টা করলেও অফিস বন্ধ ছিল।


ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ডাঃ সহজানন্দ প্রসাদ সিং বলেছেন, পুরো বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিৎ। ভারত যখনই অন্য কোনও দেশে ওষুধ পাঠায়, তখনই তার চেকিং হয়। এমতাবস্থায় এটাও দেখতে হবে কাশির সিরাপের সঙ্গে অন্য কোনও ওষুধ পাঠানো হয়েছে কি না। ডাব্লুএইচওর উচিৎ, সমস্ত প্রমাণ দেওয়া যাতে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়, কারণ এটি দেশের প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন। একইসঙ্গে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিজিসিআই) সূত্র বলছে, তদন্ত করা হচ্ছে।


হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেন, যে কোম্পানির দ্বারা উত্পাদিত চার ধরণের কাশির সিরাপের নমুনা কলকাতা স্থিত সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাবরেটরিতে (সিডিএল) পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, "নমুনাগুলি DCGI এবং হরিয়ানার খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বিভাগ একত্র করে এবং কলকাতার সিডিএল-এ পাঠানো হয়।"  এছাড়াও তিনি জানান, 'কোম্পানির উৎপাদিত কাশির সিরাপ রপ্তানির জন্য অনুমোদিত এবং দেশে বিক্রির জন্য উপলব্ধ নয়। সিডিএলের রিপোর্ট পাওয়ার পরই যা পদক্ষেপ করা হবে।'


সরকারের তফে যা জানানো হয়েছে-

ভারতের যেকোনও ওষুধ, অন্য কোনও দেশে গেলে, বাজারে বিক্রি বা ব্যবহার করার আগে এটি পরীক্ষা করে। এমন পরিস্থিতিতে গাম্বিয়ায় যখন চেক করা হয়েছিল, কেন তা জানা যায়নি।

চারটি ওষুধ পরীক্ষা ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছে কিনা- তা WHO-কে বলা উচিৎ।

মেডিন ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধের নমুনা দেশের কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক ওষুধ ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে, যার ফলাফল আগামী দুই দিনের মধ্যে আসবে।

চারটি সর্দি ও কাশির সিরাপ গাম্বিয়ায় গেছে নাকি অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

 মেডিন ফার্মাসিউটিক্যালসকে ওষুধ ও প্রসাধনী আইনের অধীনে হরিয়ানা ড্রাগ কন্ট্রোলার দ্বারা রপ্তানির জন্য ওষুধ তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।

এসওপি অনুসারে, যদি ডাব্লুএইচও কোনও দেশের ওষুধ নিম্নমানের হওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা বা পরামর্শ জারি করে, তবে তাকে সেই দেশের নিয়ন্ত্রকের সাথে ওষুধের লেবেলের ছবি শেয়ার করতে হবে। ৬ দিন পরেও, ডব্লিউএইচও প্যাকেজিং লেবেলের ছবি এবং ব্যাচের তথ্য ডিজিসিআইকে দেয়নি। চার দিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভা অফিসে এ বিষয়ে একটি ইমেলও পাঠিয়েছিল ডিজিসিআই।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad