গুজরাটের মরবিতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪১। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার এক যুবকও। ওই যুবক পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা, নাম হাবিবুর রহমান। কাজের সন্ধানে লেখাপড়া ছেড়ে গুজরাটে চলে যান মামার কাছে। তিনি স্বর্ণকারের কাজ শিখছিলেন। রবিবার ব্রিজ ভেঙে পড়ার সময় হাবিবুর সেখানেই ছিলেন এবং এই দুর্ঘটনায় তিনিও প্রাণ হারান। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হাবিবুরে বাড়ির আর্থিক অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। এ কারণে তিনি একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা ছেড়ে দেন এবং গুজরাটে গিয়েছিলেন পেটের তাগিদে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতেই ছেলের মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। হাবিবুরের মায়ের অবস্থা ঠিক নেই। তিনি বলেন, 'রাত একটার দিকে খবর পেলাম ছেলে আর এই পৃথিবীতে নেই।'
তিনি বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল মঙ্গলবার।" নিহতের বাবা বলেন, 'রাত ১টা বাজে। এমন সময় আমার ভাই ফোন দিল। তিনি বলেন, আমার ছেলে সেতু দুর্ঘটনায় মারা গেছে।'
এলাকার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ছেলেটিকে একটি অভাবী পরিবার স্কুলে ভর্তি করেছিল। কিন্তু বেশিদূর পড়তে পারেননি। এখন আর্থিক অনটনের কারণে সেখানে গেছেন। রবিবার তার ছুটি থাকায় তিনিও ব্রিজ দেখতে গিয়েছিলেন। চার দিন আগে গুজরাট সরকার ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছে। কোন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে জানি না। সেতুটি ধসে এ পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে হাবিবুরও ছিল। আমি আর কি বলতে পারি!'
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গুজরাটের মরবিতে মাছু নদীর উপর নির্মিত ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে। সেই সময় ৫০০ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ছট পূজার আনন্দ মুহূর্তেই বদলে যায় আর্তনাদে।
No comments:
Post a Comment