জিঙ্ক এমন একটি খনিজ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি 300 টিরও বেশি এনজাইমের কাজ করতে সহায়তা করে এবং শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। এটি পুষ্টিকে বিপাক করে, শরীরের কোষের বৃদ্ধি ও মেরামতে সাহায্য করে এবং সেইসাথে অনাক্রম্যতা বজায় রাখে। আমাদের শরীর জিঙ্ক সঞ্চয় করতে পারে না, তাই আমাদের এই পুষ্টির দৈনিক গ্রহণের প্রয়োজন। জিঙ্কের অভাবের কারণে চুল পড়া, ওজন কমে যাওয়া, ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব, ঘন ঘন ডায়রিয়া, খিদে কমে যাওয়া, মানসিক স্বাস্থ্য, বেশি দুর্বল বোধ করা এবং পরীক্ষা-গন্ধ অনুভব করা সহ অনেক রোগ হতে পারে।
দুগ্ধজাত পণ্য
দুধ এবং তা থেকে তৈরি পণ্যে অনেক ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়, যার মধ্যে জিঙ্কও একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। তাই প্রতিদিন অবশ্যই ২ গ্লাস দুধ পান করা উচিত। এছাড়া পনির খেলেও শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হয় না।
বীজ
বীজ আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের একটি স্বাস্থ্যকর সংযোজন, যার কারণে শরীর প্রচুর জিঙ্ক পায়। এর জন্য আপনি কুমড়ো এবং তিলের বীজ খেতে পারেন। এগুলো খেলে আরও অনেক পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিও পূরণ হয়।
বাদাম
আমরা প্রায়ই শুনেছি বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পাইন বাদাম, কাজু এবং বাদাম জাতীয় বাদাম খাওয়া আপনার জিঙ্কের পরিমাণ বাড়াতে পারে। তাদের প্রভাব গরম, তাই গ্রীষ্মের মরসুমে এটি খুব বেশি খাবেন না।
মাংস
মাংস আমিষভোজীদের জন্য জিঙ্কের একটি সমৃদ্ধ উৎস, বিশেষ করে লাল মাংস যা এই পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। মাংসকে সাধারণত প্রোটিন ও চর্বির উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হলেও তা খেলে শরীরে জিঙ্কের কোনো ঘাটতি হয় না।
ডিম
ডিম সাধারণত প্রোটিনের প্রয়োজন মেটাতে খাওয়া হয়, তবে এতে সামান্য জিঙ্কও থাকে, যা দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট। তাই সকালে সেদ্ধ ডিম খান।
No comments:
Post a Comment