সরকারের বড় পদক্ষেপ! ৪০ হাজার কোম্পানি তালাবদ্ধ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 3 November 2022

সরকারের বড় পদক্ষেপ! ৪০ হাজার কোম্পানি তালাবদ্ধ



জালিয়াতি রুখতে বড় পরিকল্পনা তৈরি কেন্দ্রের।  প্রকৃতপক্ষে, নিষ্ক্রিয় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।



 সরকারের টার্গেটে একটি-দুটি নয়, এ ধরনের মোট 40 হাজার কোম্পানি রয়েছে, যাদের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে।


 আসলে, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক 40 হাজারের বেশি কোম্পানি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  এই সংস্থাগুলির বেশিরভাগই দিল্লী এবং হরিয়ানায় নথিভুক্ত।  এই দুই রাজ্যে 7500 টিরও বেশি শেল কোম্পানি নথিভুক্ত।



 ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্পোরেট মন্ত্রক এমন সংস্থাগুলিকে ছাঁটাই করেছে যাদের ব্যবসা 6 মাস ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল।  এ ধরনের কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা বলছেন, এসব গোপন কোম্পানির মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারের সম্ভাবনা রয়েছে।



 প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব কোম্পানিকে ব্যবহার করে ভুল পথে বিদেশে টাকা পাঠানো হয়।  অর্থাৎ, কালো টাকা এই কোম্পানিগুলিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।  সরকার প্রতিনিয়ত এই ধরনের কোম্পানি চিহ্নিত করে এবং ব্যবস্থা নেয়।  গত বছরও একই ধরনের হাজার হাজার কোম্পানিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।


 একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ (আরওসি) এমন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় যেগুলি প্রায় দুই বছর ধরে কোনও ব্যবসা করছে না, সেইসাথে যে সংস্থাগুলি এই সময়ের মধ্যে ব্যবসার ডেটা ভাগ করে না।  কিন্তু, এবার শুধুমাত্র ৬ মাস ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা কোম্পানিগুলোকেও বেছে নেওয়া হয়েছে।



 নোট বাতিলের পর থেকে সরকার শেল কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।  তাদের মধ্যে কালো টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।  কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত প্রায় 23 লাখ কোম্পানি রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র 14 লাখ কোম্পানি কাজ করছে।  পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় 8 লাখ কোম্পানি তাদের ব্যবসা বন্ধ করেছে।


 

 সরকার শুধু শেল কোম্পানিগুলোকে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি, তাদের ওপর সরকারের দায় যা-ই থাকুক না কেন, তাও আদায় করা হবে।  এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক বলেন, এ ধরনের কোম্পানি ও তাদের পরিচালকদের ওপর বকেয়া পরিশোধ করা হবে না, পাশাপাশি কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনও লেনদেন হলে তার পরিচালক ও কোম্পানির প্রতিনিধিকে তলব করা হবে।  অর্থাৎ এসব কোম্পানিকে তালা ঝুলানোর পরও তাদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে কোনও দ্বিধা থাকবে না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad