রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কারামন্ত্রী অখিল গিরির আপত্তিকর বক্তব্যের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনীতি। মন্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে কলকাতা, দিল্লী-সহ চার রাজ্যে মামলা হয়েছে। বিষয়টি এখন কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং আদালতের কাছে মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আদালত অনুমতি দিয়েছেন। অন্যদিকে, তৃতীয় দিনের মতো সোমবারও বিক্ষোভ করছে বিজেপি ও আদিবাসী সংগঠনগুলি।
সোমবার প্রধান বিচারপতির আদালতে বিজেপির আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বলেন যে তৃণমূল নেতা কেবল ক্ষমা চেয়েছেন। কেন তাকে গ্রেফতার করা হবে না? এ প্রশ্ন করে তিনি মামলা করার অনুমতি চেয়েছেন। বিজেপি দুটি মামলা নথিভুক্ত করার অনুমতি চেয়েছে। আদালত অনুমতি দিয়েছেন। মামলাকারীরা দ্রুত শুনানির আবেদন করেন।
অন্যদিকে, অখিল গিরির বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার জঙ্গলমহল এলাকায় বিক্ষোভ করছে আদিবাসী সংগঠন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে দাসপুর থানার ভিমতলা এলাকায় বিক্ষোভ করছে আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। অবিলম্বে মন্ত্রী অখিল গিরির পদত্যাগ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবী উঠেছে। এই অবরোধ-বিক্ষোভের জেরে ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে ব্যাপক জ্যাম দেখা দিয়েছে। দাসপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
অখিল গিরির বক্তব্যের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া জেলায়ও আদিবাসীদের আন্দোলন চলছে। এদিন সকাল থেকে বাঁকুড়া জেলার রায়পুরের সবুজ বাজারের কাছে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রামের ৯ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে আদিবাসীদের একটি সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঞ্জি পরগনা মহল। আজ সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধের জেরে বন্ধ বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক। ফলে ওই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধের পর দশটার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে অখিল গিরির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ দাবী করেছে।
No comments:
Post a Comment