হলুদের দুধ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে কাশি, জ্বর, সর্দি-কাশি বা অনুপস্থিত আঘাতের ক্ষেত্রে হলুদের দুধকে 'নিরাময়' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শীতকালে, নিজেকে উষ্ণ রাখতে এবং রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন হলুদ দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর কারণ হল হলুদের দুধে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-বি এবং প্রোটিন থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য বিশাল উপকার নিয়ে আসে। যদিও এমন অনেকেই আছেন যারা হলুদের দুধে ক্ষতিগ্রস্থ হন। এই ধরনের লোকেদের হলুদ দুধ খেতে ভুলবেন না, তা না হলে তাদের হাসপাতালে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না।
রক্তাল্পতা সঙ্গে মানুষ
যাদের রক্তস্বল্পতা আছে, তাদের হলুদের দুধ খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকদের মতে, হলুদের দুধ খেলে শরীর আয়রন ঠিকমতো শোষণ করতে পারে না, যার কারণে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে না। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাহলে হলুদের দুধ আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কিডনি ব্যর্থ রোগীদের
হলুদ দুধ কিডনি রোগে আক্রান্তদের জন্যও ক্ষতিকর। আসলে, হলুদে অক্সালেট থাকে, যার কারণে কিডনি রোগ আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে হলুদের দুধ পান করলে আপনার কিডনির সমস্যা বাড়তে পারে।
দুর্বল হজম সহ মানুষ
যাদের প্রায়ই পেট খারাপ বা হজমের সমস্যা থাকে, তাদেরও হলুদের দুধ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুধ পান করার পর এই ধরনের মানুষের পেটে ফোলাভাব, অম্বল বা গ্যাস তৈরির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় এই দুধ এড়িয়ে চললে ভালো হবে।
কম রক্তে শর্করার রোগী
লো ব্লাড সুগারের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য হলুদের দুধ পান করা কষ্টের ডাক দেওয়ার মতো। এর কারণ হল হলুদে রয়েছে কারকিউমিন, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা আরও কমিয়ে দিতে পারে। এ কারণে এ ধরনের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে। তাই তারা এই দুধ না পান করলেই ভালো হবে।
No comments:
Post a Comment