আজকাল আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ অসুস্থ। কারো জ্বর হলে কারো গলা ব্যথা বা কাশিতে সমস্যা হয়। এসব রোগ প্রতিরোধে জনগণ চিকিৎসকের কাছে ঘোরাঘুরি করতে বাধ্য হচ্ছে। এর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক ও ক্যান্সারের ক্রমবর্ধমান ঘটনাও মানুষকে জাগিয়ে রেখেছে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, তারা চাইলে ঘরে বসে মাত্র কয়েকটি সবুজ পাতা খেয়েই এই রোগগুলো দূর করতে পারেন।
তুলসী পাতা ঔষধি গুণে ভরপুর
এই অলৌকিক পাতা তুলসী গাছের। বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী গাছে দেবী লক্ষ্মী বাস করেন। অতএব, এই উদ্ভিদ সহজেই প্রতিটি বাড়িতে দেখা যায়। সবাই এর ধর্মীয় গুরুত্বের সাথে পরিচিত, তবে এর অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে । ধর্মীয় পন্ডিতদের মতে তুলসী দুই প্রকার। সবুজ পাতা বিশিষ্ট তুলসীকে রাম তুলসী এবং গাঢ় রঙের তুলসীকে শ্যাম তুলসী বলা হয়।
তুলসী মৌসুমি রোগের 'অ্যারামিয়া'
চিকিত্সকরা বলছেন, তুলসী গাছ দুটিই ঔষধি গুণে ভরপুর। এর পাতা কাশি-সর্দি, ফ্লু, জ্বর, মাথাব্যথা, বদহজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করা যায়। মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা দূর করতেও তুলসী পাতা বিস্ময়কর কাজ করে। শরীরের ক্রমবর্ধমান চর্বি দূর করতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী।
রাম তুলসীতে অসাধারণ আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আমরা তুলসীর উভয় গাছের তুলনা করি, তাহলে সবুজ পাতার সঙ্গে রাম তুলসি অসাধারণ আয়ুর্বেদিক গুণে পরিপূর্ণ। এর পাতায় রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক গুণ। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা হার্ট অ্যাটাক এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ত্বকে উজ্জ্বলতা দেয় এবং চুল পড়াও কমায়। এটি ঋতুজনিত রোগ দূর করতে তুলসীর উপকারিতা হিসেবে কাজ করে। এর ব্যবহারে উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তুলসী কিভাবে ব্যবহার করবেন?
চিকিত্সকরা বলছেন যে তুলসীর সর্বাধিক উপকার পেতে এর পাতা কীভাবে ব্যবহার করবেন তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে এক গ্লাস জলে রাম তুলসীর ২-৩টি পাতা ফুটিয়ে নিতে পারেন। এরপর সেই জল হালকা গরম করে চায়ের মতো খানিকটা পান করুন। এতে গলায় অনেক আরাম পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি চায়ে তুলসী পাতা খেতে পারেন বা এর একটি ক্বাথ তৈরি করতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মৌসুমি রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন খালি পেটে ২-৩টি তুলসী পাতা খেতে পারেন। এটি আপনাকে অনেক আরাম দেবে।
No comments:
Post a Comment