আমাদের শৈশব থেকেই শেখানো হয় যে আমাদের উচিৎ অভাবীদের সাহায্য করা। কিন্তু আচার্য চাণক্যের মতে, মানুষকে সাহায্য করার আগে তাদের চরিত্র সম্পর্কে জানা উচিৎ । একজন মানুষ সুন্দর জীবনের জন্য কি করে না? পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে। বাড়ি থেকে সুখী জীবনের সবকিছু সংযুক্ত করে। তবে এই সময় তিনি অনেক ভুলও করেন, যার কারণে তার জীবন নরকে পরিণত হয়। আচার্য চাণক্য সুখী জীবনের জন্য কিছু ব্যবস্থার কথা বলেছেন, এই ব্যবস্থা বা বিষয়গুলো জীবনে বাস্তবায়িত হলে জীবন স্বর্গের মতো মনে হতে শুরু করে।
মৃত্যুর মত বাঁচো
জীবনে তিনজনের থেকে দূরত্ব রাখতে বলেছেন আচার্য চাণক্য। যদি এই তিনজনকে জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তবে একজন মানুষকে সুখী হতে কেউ আটকাতে পারবে না। আচার্য চাণক্য বলেছেন, এই তিনজনের সঙ্গে বেঁচে থাকা মানেই মৃত্যু। এই তিন ব্যক্তি চরিত্রহীন নারী, আত্মমগ্ন মানুষ এবং সবসময় অসুখী মানুষ।
চরিত্রহীন স্ত্রী
আচার্য চাণক্যের নীতি বলে যে ঘরে যদি কোনও দুষ্ট স্ত্রী থাকে তবে আপনার সুখী জীবন মৃত্যুর মতো মনে হয়। যে ঘরে এমন নারী থাকে, সে ঘর নরকের মতো হয়ে যায়। এমন বাড়িতে সর্বদা কলহ ও কলহ লেগেই থাকে, যার কারণে মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যায়।
এই মানুষদের থেকে একশ কদম দূরত্ব তৈরি করুন
আচার্য চাণক্যের মতে, অসুখী লোকদের থেকে সবসময় একশো কদম দূরত্ব রাখা উচিৎ । এই ধরনের লোকেরা অন্যের সুখকে ঘৃণা করে এবং তাদের প্রতি খারাপ অনুভূতিও পোষণ করে। অতএব, আপনি যদি এই জাতীয় লোকদের থেকে দূরত্ব না রাখেন, তবে আপনার জীবন সর্বদা একটি নেতিবাচক পরিবেশে চলে যাবে, কারণ তারা কেবল অসুখী হওয়ার ভান করে।
আত্মতৃপ্ত ব্যক্তি
আচার্য চাণক্যের মতে, একজন আত্মসচেতন বা মূর্খকে সাহায্য করা নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো। এই ধরনের লোকেরা সবসময় আপনাকে পরাজিত করার চেষ্টা করে। আপনি যদি এই লোকদের কিছু ভাল করেন তবুও এই লোকেরা এখনও অহংকারী থাকে এবং আপনাকে নীচু করার কোন সুযোগ ছাড়ে না।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment