পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার বিষয়টি সর্বত্র আলোচিত। ইমরান খানের একটি মিছিলের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন, এতে ইমরান আহত হন। এরপর থেকে পাকিস্তানে ইমরান খানের দলের সব নেতা-কর্মী সরকারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আক্রমণকারী হয়ে উঠেছে। এই পুরো ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর পাকিস্তানে কী ঘটতে চলেছে। শাহবাজ শরিফের সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং এ জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ইমরান খান কেন সমাবেশ করছেন?
ইমরান খানের নেতৃত্বে তার দল ২৮ অক্টোবর থেকে শাহবাজ শরীফ সরকারের বিরুদ্ধে হাকিকি আজাদি মার্চ শুরু করে। এই পদযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে উৎখাত করা এবং পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করা। মিছিল সম্পর্কে আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও সেদিকে নজর রাখছিল। সব মিলিয়ে ইমরান খান আবারও প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
ইমরান খান তার শত শত সমর্থক নিয়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত গুজরানওয়ালায় সরকার বিরোধী মিছিল বের করছিলেন। খোলা গাড়িতে মিছিল করছিলেন ইমরান খান। এ সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শুরু হয়। ইমরান খানের পায়েও অনেক গুলি লাগে। এর পাশাপাশি ইমরানের কাছে তার দলের কয়েকজন নেতাও আহত হয়েছেন। এর পর হামলাকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং তার একটি ভিডিওও সামনে আসে, এই ভিডিওতে হামলাকারী ইমরান খানকে খুনের কথা বলছে। তিনি বলেন, ইমরান দেশকে বিভ্রান্ত করছে, সে কারণেই তাকে খুন করতে চেয়েছে।
No comments:
Post a Comment