দেব প্রবোধিনী একাদশী শুক্রবার অর্থাৎ ৪ নভেম্বর। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু চাতুর্মাসে শয়নের পর যোগ নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন। ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে বিবাহ এবং অন্যান্য শুভকাজ শুরু হয়। বিয়ের পর নবদম্পতির বেডরুমটাও যেন নিখুঁত হয়, তাই বাস্তুশাস্ত্রের প্রতি খেয়াল রাখা উচিৎ। এ কারণে দাম্পত্য জীবন মধুর থাকে। এমন পরিস্থিতিতে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের শোওয়ার ঘর সাজাতে হয়।
দম্পতির বেডরুমের দিক সবসময় উত্তর-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিৎ। এটি উভয়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। দাম্পত্য জীবনে কখনই কোনও সমস্যা হয় না। যদি কোনও কারণে এই দিকে শোওয়ার ঘর তৈরি করা না যায়, তবে আপনি দক্ষিণ-পূর্ব দিকেও একটি ঘর তৈরি করতে পারেন।
বেডরুম হল সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের জন্য সবচেয়ে বিশেষ জায়গা। এমন অবস্থায় এই ঘরের দেওয়ালে বাস্তু অনুযায়ী রং করা উচিৎ। বেডরুমের দেওয়ালের রঙ খুব বেশি গাঢ় হওয়া উচিৎ নয়। এখানে হালকা রং; বিশেষ করে গোলাপি, আকাশী, সবুজ বা হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে শোওয়ার ঘরে আয়না থাকা উচিৎ নয়। এতে করে, নেতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়, তবে অনেক দম্পতি বেডরুমে ড্রেসিং টেবিল রাখেন। আপনিও যদি এটি রাখতে চান, তবে এটি বিছানার সামনে রাখবেন না। আয়নার মুখ যদি বিছানার দিকে থাকে, তবে ঘুমানোর আগে তার ওপর একটি কাপড় রাখুন।
বিবাহিত দম্পতিদের ঘুমের দিকটিও বাস্তুশাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল দিকে ঘুমানোর কারণে বাস্তু ত্রুটি দেখা দিতে পারে। স্ত্রীকে সবসময় স্বামীর বাম পাশে ঘুমাতে হবে। স্ত্রীকে স্বামীর বাম দিক বলে মনে করা হয়। এতে করে পারিবারিক জীবন সুখের হয়।
বিবাহিত দম্পতিদের জন্য, বিছানা সবসময় কাঠের তৈরি করা উচিৎ এবং আবর্জনা বা বর্জ্য জিনিস কখনই বিছানার নিচে রাখা উচিৎ নয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment