গুজরাট পুলিশের হাতে আবারও গ্ৰেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সাকেত গোখলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ক্রাউড ফান্ডিং অপব্যবহারের অভিযোগে দিল্লী থেকে গ্রেফতার করে। একজন বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক একথা বলেন, গোখলেকে আহমেদাবাদ সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করে এবং তাকে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য এখানে আনা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তিনি এখানে পৌঁছে যাবেন।'
চলতি মাসে তৃতীয়বার গোখলেকে গ্রেফতার করল গুজরাট পুলিশ। রাজস্থান পুলিশের অজান্তেই গোখলেকে প্রথম ৫ ডিসেম্বর জয়পুরে গুজরাট পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আহমেদাবাদে আনার পর, তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। গুজরাট পুলিশ অভিযোগ করেছিল যে, গোখলে রাজনৈতিক সুবিধার জন্য মোদীর মোরবি সফর সম্পর্কে জাল খবর ট্যুইট করেছিলেন।
৮ ডিসেম্বর আহমেদাবাদের একটি আদালত থেকে গোখলেকে জামিন দেওয়া হয়, কিন্তু শীঘ্রই মরবি জেলায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়। মোরবি পুলিশ গোখলেকে মোদী সম্পর্কে জাল খবর ছড়ানোর পাশাপাশি নির্বাচনের সময় শ্রেণি শত্রুতা প্রচার করার অভিযোগ করেছে। ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় মামলায়ও জামিন পান গোখলে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগ করেন যে, প্রথম মামলায় গুজরাট পুলিশের তাকে আটক করা বেআইনি। তার অভিযোগে গোখলে জানান, জয়পুর বিমানবন্দরে তার আটক ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৬৭ লঙ্ঘন করেছে, কারণ পুলিশ তাকে গুজরাটে নিয়ে যাওয়ার আগে স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে ট্রানজিট রিমান্ড নেয়নি।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরও দাবী করেন যে, আদালতে পেশ করার আগে তাকে ২৮ ঘন্টা গুজরাট পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। গোখলে অভিযোগ করেছেন যে, এটি সিআরপিসির ধারা ১৬৭ লঙ্ঘন করে, কারণ আইন অনুসারে ব্যক্তিকে আটকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে।
বৃহস্পতিবার অন্য একটি ট্যুইটে, গোখলে লিখেছেন, "আইন উড়িয়ে দেওয়া এবং মধ্যরাতে গেস্টাপো-স্টাইলের বেআইনি আটকে রাখা বিজেপির একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন আমি বলেছি - আমি লড়াই করব এবং আমি আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে লড়াই করব।"
No comments:
Post a Comment