আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মুগ ডাল টোস্ট তৈরির রেসিপি। প্রোটিন সমৃদ্ধ মুগ ডাল টোস্ট একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন।
মুগ ডাল টোস্ট কীভাবে তৈরি করবেন: ডাল ভারতের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি। এই কারণেই আপনি সহজেই ভারতে অনেক রকমের ডাল দেখতে পাবেন যেমন- চানার ডাল, অড়হর ডাল, মসুর ডাল , মুগ ডাল ইত্যাদি। মুগ ডাল প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। এ কারণেই লোকেরা মুগ ডাল অঙ্কুরিত করতে এবং চাট, মশলাদার ডাল বা নমকিন হিসাবে খেতে পছন্দ করে। কিন্তু আপনি কি কখনো মুগ ডাল টোস্ট বানিয়ে খেয়েছেন? না হলে আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মুগ ডাল টোস্ট তৈরির রেসিপি। প্রোটিন সমৃদ্ধ মুগ ডাল টোস্ট একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। সকালের জলখাবারে মুগ ডাল টোস্ট খেলে সারাদিনের জন্য প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এগুলো খেতেও দেখতে খুবই সুস্বাদু। বাচ্চারাও এগুলো পেট ভরে খায়, তাহলে চলুন জেনে নিই মুগ ডাল টোস্ট বানানোর পদ্ধতি -
মুগ ডাল টোস্ট বানাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ-
মুগ ডাল ১ কাপ
বাঁধাকপি ১/২ কাপ সূক্ষ্মভাবে কাটা
আধা কাপ গ্রেট করা গাজর
ধনে পাতা সূক্ষ্মভাবে কাটা
আদা পেস্ট
লবনাক্ত
স্বাদ অনুযায়ী গোলo মরিচ
হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ
হিং আধা চা চামচ
এক চিমটি বেকিং সোডা
পাউরুটির স্লাইস ৫-৬
মাখন ১-২ টেবিল চামচ
কিভাবে মুগ ডাল টোস্ট বানাবেন?
মুগ ডাল টোস্ট তৈরি করতে প্রথমে মুগ ডাল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
এরপর ধোয়া মসুর ডাল জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা রেখে দিন।
তারপর ডাল থেকে জল আলাদা করে মিক্সারে পিষে পিউরি তৈরি করুন।
এরপর এতে কাটা সবজি, সবুজ ধনে, আদা বাটা ও লবণ দিন।
এর সাথে গোল মরিচ, হলুদ গুঁড়ো, হিং এবং এক চিমটি বেকিং সোডা যোগ করুন।
তারপর এই সব জিনিস ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
এর পর একটি পাউরুটির স্লাইস নিয়ে তাতে মাখন মাখিয়ে নিন।
এরপর এতে মুগ ডালের তৈরি মিশ্রণটি ভালো করে ছড়িয়ে দিন।
এর পরে, একটি প্যানে কিছু তেল বা মাখন দিয়ে গ্রীস করুন এবং মাঝারি আঁচে গরম করুন।
তারপর পাউরুটির টুকরোগুলো গরম ভাজা ভাজিতে বাটা দিয়ে নামিয়ে রাখুন।
এর পর রুটির ওপরে সামান্য মাখন লাগিয়ে মুগ ডালের মিশ্রণটি ছড়িয়ে দিন।
তারপর রুটিটি দুই দিক থেকে সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
এখন আপনার মুগ ডাল টোস্ট প্রস্তুত।
তারপর এই টোস্টটি কেটে কেচাপ বা প্রিয় চাটনির সাথে পরিবেশন করুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment