আচার্য চাণক্য তার নীতিমালায় মানুষের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছেন। নারী-পুরুষ সম্পর্কের ব্যাপারে তিনি যে নীতিই দিয়েছেন, সেগুলো আজকের জীবনেও পুরোপুরি কার্যকর।
বিবাহ সম্পর্কে চাণক্য নীতি: আচার্য চাণক্যকে ভারতের মহান কূটনীতিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি তার নীতিশাস্ত্রে মানব জীবনের অনেক কথা বলেছেন। তাঁর নীতি অনুসরণ করে বহু মানুষ জীবনে সাফল্য অর্জন করেছেন। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য আচার্য চাণক্যের নীতি অবলম্বন করে মগধের সম্রাট হন। চাণক্য নীতিতে নারী-পুরুষ সম্পর্ক, স্বামী-স্ত্রীর আচার-আচরণ সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে। স্বামীর আচার-আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ বলে দিয়েছেন। স্ত্রীর চোখে তিনি নিজেকে কীভাবে প্রমাণ করবেন। অন্যদিকে, স্বামীর যদি কিছু ত্রুটি থাকে, তবে তার স্ত্রী হিংসা বোধ করতে শুরু করে।
চরিত্রহীন
চাণক্য নীতি অনুসারে পুরুষের চরিত্র খারাপ হলে। স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীর সঙ্গে যদি তার অবৈধ সম্পর্ক থাকে, তাহলে কোনো নারীই এমন স্বামী পছন্দ করে না। তার নিজের স্ত্রী তার শত্রু হয়ে যায়।
মিথ্যা
প্রত্যেক স্ত্রীই চায় তার স্বামী দাম্পত্য জীবনে সৎ থাকুক। তাকে সব সত্য বলুন। কখনো মিথ্যার সমর্থন নেবেন না। অন্যদিকে, যদি একজন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে বারবার মিথ্যা বলেন, তাহলে এই ধরনের লোকেরা তাদের স্ত্রীদের ঘৃণা করতে শুরু করে। সে তাকে তার সবচেয়ে বড় শত্রু হিসাবে বিবেচনা করতে শুরু করে।
নিয়ম
চাণক্য নীতি অনুসারে, মহিলারা তাদের স্বামীকে সবকিছু বলতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে স্বামী যদি তাদের প্রতিটি বিষয় বা কোনো গোপন কথা অন্যের সামনে খুলে দেন, তাহলে নারীরা এমন স্বামীদের একেবারেই পছন্দ করেন না।
খারাপ আসক্তি
আচার্য চাণক্যের মতে, স্বামীর কোনো খারাপ আসক্তি থাকলে। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে মাদক সেবন করে, মদ পান করে বা জুয়া খেলায় আসক্ত হয়, তাহলে এই ধরনের স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের কাছে মোটেই পছন্দ করে না। তাদের কাছে এ ধরনের বিয়ে বোঝা মনে হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment