তুনিশা শর্মা মৃত্যু মামলায় একটি বড় তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়ালিভ পুলিশ। পুলিশের মতে, শিজান খান খুব ভালো করেই জানতেন যে তুনিশা শর্মার কিছু মেডিকেল সমস্যা আছে এবং তিনি খুবই সংবেদনশীল। তা সত্ত্বেও তিনি তুনিশা শর্মার সাথে সম্পর্কে জড়ান এবং পরে ব্রেকআপও করেন। এটি তুনিশা শর্মার আত্মহত্যার একটি বড় কারণ হতে পারে। পুলিশের মতে, শিজান খানের একাধিক সম্পর্ক থাকতে পারে, কারণ বেশ কয়েকটি মেয়ের সাথে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট যা তারা শিজানের ফোন থেকে পেয়েছেন, এই দিকে নির্দেশ করে। এ ক্ষেত্রে যেসব মেয়ের সঙ্গে শিজান চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলেছেন, তাদের সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, তুনিশা শর্মা বিষয়টি জানতে পারেন এবং ২৪ ডিসেম্বর উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। পরে তুনিশা আত্মহত্যা করেন। বিচ্ছেদের পরও তুনিশা শর্মাকে একা ছাড়েননি শিজান খান। কোনও না কোনও অজুহাতে সেটে তার সঙ্গে একটানা কথা বলতেন। এ কারণেই তুনিশা কখনই এই সম্পর্ক থেকে এগোতে না পেরে ডিপ্রেশনে চলে যান।
তুনিশার মৃত্যুর পর, শিজান খান কল ছাড়াও গোপন বান্ধবীর সাথে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলেছিলেন, কিন্তু পরে তিনি সেই চ্যাটগুলি মুছে দেন। পুলিশ সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
২৪ শে ডিসেম্বর তুনিশা এবং শিজানের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় কী ঘটেছিল, যার কারণে তুনিশা আত্মহত্যা করে, তা পুলিশের জন্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শিজান ক্রমাগত তদন্তে অসহযোগিতা করছেন এবং এই বিষয়ে উত্তর দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ।
No comments:
Post a Comment