বেশিরভাগ বাড়িতেই প্লেটে একসঙ্গে তিনটি রুটি রাখা হয় না বা তিনটি রুটি প্যাক করে কাউকে দেওয়া হয় না। এর পেছনে আসল কারণ কী তা অধিকাংশ মানুষই জানেন না। কিন্তু এই বিষয়টি সবাই মেনে নেয়। ছোট বাচ্চারা ঘরে তিনটি রু7টি নিয়ে গেলেও তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এটা শুধু রুটির জন্য নয়, পুরি-পরাথার জন্যও। ৩ নম্বরের পিছনে একটি বিশ্বাস সংযুক্ত রয়েছে।
তিনটি দুর্ভাগ্য বলে বিবেচিত হয়
তিন নম্বরকে জ্যোতিষশাস্ত্রে ভালো মনে করা হয় না। ৩ নম্বর উপাসনা এমনকি সাধারণ জীবনে অন্তর্ভুক্ত নয়। যার কারণে এটাকে বেশি অশুভ মনে করা হয়। মনে করা হয়, মৃত ব্যক্তির নামে রাখা খাবারের প্লেটে ৩টি রুটি রাখা হয়। যার কারণে জীবিত ব্যক্তির প্লেটে ৩টি রুটি রাখা অশুভ। তাই ঘরে তিন রুটি দেওয়া হয় না। একটি প্লেটে তিনটি রুটি পরিবেশন করা সবসময় এড়িয়ে যাওয়া হয়। তাই তিন নম্বরে কিছুই পরিবেশন করা হয় না।
৩টি রুটি একসাথে খাওয়া উচিৎ নয়
যদি সেভাবে দেখা যায়, খাবারে একসঙ্গে তিনটি রুটি খাওয়া উচিৎ নয় কারণ শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, একবারে দুটি রুটিই যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। এক বাটি মসুর ডাল, ৫০ গ্রাম চাল এবং এক বাটি সবজি সবথেকে ভালো খাবার। হাল্কা খাবার খেলে আপনার শরীর সব সময় ফিট এবং এনার্জেটিক থাকে। বেশি খাবার খেলে শরীরের মেদ বাড়ে এবং অলসতাও লেগেই থাকে। এই সব কিছু এড়াতে সবসময় একই সময়ে হালকা খাবার খেতে হবে।
কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই
প্লেটে রুটি পরিবেশনের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কেউ জানে না এর পেছনে আসল বিশ্বাস কী। কিন্তু এই ব্যাপারটা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। এই কারণে সবাই এটি অনুসরণ করে। তবে এর পেছনে কোনো কারণ জানাননি বিজ্ঞানীরা। এটা মানুষের তৈরি বিশ্বাস। সেজন্য মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বাস করে আসছে এবং আজও এটি ঘরে ঘরে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment