বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। যৌতুকের দাবীতে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করত বাড়ির বউকে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হেনস্থা সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ। মেয়েটিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হরিদেবপুর থানা এলাকার কৈলাস ঘোষ রোডে অবস্থিত বাড়ি থেকে মাম্পি দাস নামে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটকও করা হয়েছে। যদিও যুবতীর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
মাম্পির পরিবারের সদস্যদের দাবী, মালদার বাসিন্দা এই যুবতীর দু'বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় প্রণয় চন্দ্র নামে এক যুবকের সঙ্গে। বাড়িতেও জানিয়েছিলেন তিনি প্রণয়কে বিয়ে করতে চান।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পরিবারের সদস্যরা এই বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। এরপর বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন মাম্পি-প্রণয়কে। যুবতীর পরিবারের দাবী, বিয়ের সময় প্রণয় নিজেকে ব্যাঙ্কের কর্মী বলে পরিচয়ও দিয়েছিলেন। পরে তারা জানতে পারে প্রণয় ব্যাঙ্কে কাজ করে না। প্রণয় কৈলাস ঘোষ রোডে অবস্থিত একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মাম্পির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মাম্পিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছিল। স্বামী টাকা চাইতে না পাওয়ায় হাত তুলেছিলেন। তিনি ধীরে ধীরে স্বামীর বাড়িতে মানসিকভাবে একা থাকতে শুরু করেন। এরপর সরস্বতী পূজার দিন ওই যুবতীর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। মাম্পির বাবার পরিবারের তরফে কলকাতায় এসে হরিদেবপুর থানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। স্বামীসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাম্পি প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলতে যেতেন। পুজোর দিন আবর্জনা ফেলতে নামেননি। যদিও সাড়ে দশটার দিকে তিনি নিচের দোকান থেকে আদা কিনেছিলেন। এরপর তাকে আর কেউ দেখেনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাম্পির ননদ ও দুই ব্যক্তি ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিনভর কেউ চিৎকার শুনতে পাননি।
No comments:
Post a Comment