জেনেটিক বা বংশগত কারণ
ব্রয়লার মুরগির আকারের তুলনায় ফুসফুস বেশ ছোট। এই ক্ষুদ্র ফুসফুসগুলি যখন এত বড় শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে সক্ষম হয় না, তখন পেটে জল জমে। জমিতে পর্যাপ্ত বাতাস বা অক্সিজেনের অভাব হলে এ ধরনের রোগও হয়। যদি মুরগির খাদ্যে প্রোটিন এবং শক্তির পরিমাণ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয়, যদি ফিডে মাইকোটক্সিন থাকে।
আমাদের দেশে কৃষকরা শীতের মৌসুমে প্রায়ই মুরগির ঘরগুলো পলিথিন বা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন। ফলে ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে না এবং অ্যামোনিয়া গ্যাস ঘরে জমতে থাকে। এটি মুরগির ফুসফুস ও হৃদপিণ্ডকে আক্রান্ত করে।
প্রতিরোধ
খামারে পর্যাপ্ত আলো এবং বায়ুচলাচল নিশ্চিত করা
শীতকালে ঘরের পর্দা পুরোপুরি বন্ধ না করে ঘরের উপর থেকে খোলা রাখতে হবে, যাতে রাতের বেলা কিছু বাতাস তা দিয়ে আসতে পারে। আর দিনের বেলায় বাকি অংশ নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত পর্দা দিয়ে ঢেকে খুলে রাখতে হবে।
মুরগির মধ্যে অ্যাসাইটিস দেখা দিলে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। হার্ড পেলেট খাবারের পরিবর্তে নরম পাউডার খাবার দেওয়া যেতে পারে।খাবারে প্রোটিন ও শক্তির পরিমাণ কমাতে হবে।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেওয়া যেতে পারে। টক্সিন বাইন্ডার, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই দেওয়া যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment