মাছের ক্ষতরোগ প্রতিরোধে করণীয় - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 28 January 2023

মাছের ক্ষতরোগ প্রতিরোধে করণীয়



শীতকালে মাছের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।  কারণ এ সময় পুকুরে জল কম থাকে, জল দূষিত হয়, মাছ অসুস্থ হয়ে পড়ে।  ফলে মাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।  বিশেষ যত্নে মাছের উৎপাদন বজায় রাখা যায়।


  মাছের ক্ষতরোগ


  Afanomyces ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি ছত্রাক সংক্রমণ।  টাকি, শোল, পুঁটি, বাইন, কই, শিং, মৃগেল, কাতল ইত্যাদি এ রোগে আক্রান্ত হয়।


  লক্ষণ


  প্রথমে মাছের গায়ে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যায়।  লাল দাগ হল ক্ষত এবং আঁচড়।  চাপে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয়।  লেজের অংশ পড়ে যায়।  মাছের চোখ নষ্ট হতে পারে।  মাছ অস্থিরভাবে জলের উপরে ভেসে বেড়ায়।  মাছ খাবার খায় না।  আক্রান্ত মাছ ১৫ থেকে ২০ দিন

  মধ্যে মারা যায়


 

  শীতের শুরুতে প্রতি ১৫ থেকে ২০ দিন অন্তর এক কেজি ডলোচুন ও এক কেজি লবণ পুকুরে মিশিয়ে দিতে হবে।

  পুকুর পরিষ্কার ও আগাছামুক্ত রাখতে হবে।  জৈব সার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।  জলাশয়ের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে হবে।  মাছের ঘনত্ব কম রাখতে হবে।  ক্ষত রোগ হওয়ার আগেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।  মাছ ক্ষত রোগে আক্রান্ত হলে প্রতি কেজি খাদ্যে ৬০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন দিতে হবে অথবা মাছকে তুঁত দ্রবণে ডুবিয়ে পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে।  আক্রান্ত মাছ পুকুর থেকে তুলে ফেলতে হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad