বাংলায় চলছে ইডির বড় অভিযান। সোমবার থেকে, ইডি আধিকারিকরা শহর জুড়ে কমপক্ষে ১০-১৩টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। ১২টি টিম নেমেছে এই অভিযানে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ইডি মঙ্গলবার কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। কলকাতার আনন্দপুর, ট্যাংরা, আলিপুর, নিউ আলিপুর, হেস্টিংস, বজবজ, মহেশতলায় অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। শহরের অনেক জায়গায় ইডির একযোগে অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে, কিন্তু ইডি কি নতুন কোনও তথ্য পেল? ইডি-র পদক্ষেপের পর থেকে মনে করা হচ্ছে, আর্থিক দুর্নীতি বা আত্মসাতের মামলা সামনে রেখেই এই পদক্ষেপ। তবে এই প্রচারাভিযান সম্পর্কে এখনও সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি।
ইডি আধিকারিকদের কাছ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও, কয়েকদিন আগে শহর জুড়ে পরিচালিত আয়কর নিরীক্ষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। শিল্প এলাকায় অনুসন্ধানে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অনেক তথ্য সামনে এসেছে। এই অনুসন্ধান এই মামলার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ইডির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও বিপুল পরিমাণ আয়কর জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। বিভিন্ন শেল কোম্পানির মাধ্যমে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ইডি দল অভিযানে নামে। ৬ ইডি আধিকারিক তারা শিল্প তালুকের একটি অফিসে গিয়েছিলেন। ৪-৫ জন অফিসারের দল আবার আলিপুরে যান। সূত্রের খবর, একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। ১০ নম্বর আলিপুর রোডের একটি গেস্ট হাউসেও গিয়েছিলেন। এর আগে অনলাইন গেমিং অ্যাপ বা নিয়োগে নিষেধাজ্ঞার অভিযোগ পেয়ে শহরে অভিযান চালায় ইডি দল। তাদের কাছ থেকে কোটি টাকার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। নতুন টাকার সন্ধান এবার পূর্ণতা পাচ্ছে কি না তা নিয়ে জনগণের প্রশ্ন। যদিও এখনও পর্যন্ত ইডির তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ইডি-র তরফে বিবৃতি জারি হলেই পরিস্থিতি পরিষ্কার হবে।
No comments:
Post a Comment