মুঘল গার্ডেনের নাম পরিবর্তন করে অমৃত উদ্যান করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক বিজেপি নেতা। তারা এটিকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন। অনেকে বলেছেন, এতে বোঝা যায় ভারত দাসত্বের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসছে।" বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তারা অনেক হিন্দুকে খুন করেছেন, অনেক মন্দির ধ্বংস করেছেন। শুধু মুঘল গার্ডেন নয়, সারা দেশ থেকে তাদের নাম মুছে ফেলতে হবে।"
বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাংলায় বিজেপি সরকার এলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটিশ ও মুঘলদের নাম মুছে ফেলবে।" অন্যদিকে, ত্রিপুরা নির্বাচন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ত্রিপুরায় তৃণমূলের অবস্থা গোয়ার থেকেও খারাপ হবে। যে সমস্ত তৃণমূল প্রার্থী সেখানে থাকবেন, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেখানে লড়াই হবে শুধু বিজেপি ও সিপিএম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে।"
একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলো সরকারকে নাম পরিবর্তন না করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিআই এই পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বামরা এটিকে ইতিহাস পুনর্লিখনের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। উল্লেখ্য, শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের বিখ্যাত মুঘল উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে অমৃত উদ্যান করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ট্যুইট করেন, "রাষ্ট্রপতি ভবনের আইকনিক বাগানের নাম পরিবর্তন করে অমৃত উদ্যান করার জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জিকে ধন্যবাদ।" তিনি বলেন, "এই নতুন নামটি কেবল আরেকটি ঔপনিবেশিক পরিচয়ের অবসান ঘটায় না, অমৃত কালের জন্য দেশের আকাঙ্ক্ষাকেও প্রতিফলিত করে।" অমৃত উদ্যানের নতুন ফলকের ভিডিও শেয়ার করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং ট্যুইট করেন, "স্বাগতম, স্বাগতম, স্বাগতম।"
No comments:
Post a Comment