যারা ফল খান, তাদের স্বাস্থ্য অনেকাংশে ভালো থাকে।ফল আমাদের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু শুধুমাত্র ফল খাওয়া সুস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট নয়। হ্যাঁ, সঠিক উপায়ে ফল খাওয়া খুবই জরুরী।একই সাথে অনেক ফল খোসার সাথে খাওয়া হয় কারণ তা না করলে তাদের পুষ্টিগুণ কমে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ফলের খোসার মধ্যেও রয়েছে পুষ্টিগুণ।প্রসঙ্গত, আজকাল ফলের গায়ে রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়, যার কারণে মানুষ ফলের খোসা বের করে খায়।কিন্তু তা করলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কারণ ফলের খোসায় ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু ফল আছে যেগুলোর খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিৎ নয়।
এই ফলগুলো খোসা ছাড়িয়ে খেতে ভুল করবেন না-
নাশপাতি-
নাশপাতি সব সময় খোসার সঙ্গে খেতে হবে।এর খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন পাওয়া যায়। নাশপাতি খোসা ছাড়াই খেলে শরীরে ফাইবার পাওয়া যায়।তাই নাশপাতি সব সময় খোসা ছাড়াই খাওয়া উচিৎ ।
পেয়ারা-
পেয়ারা খোসা সহ খাওয়া যেতে পারে। পেয়ারায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং মিনারেল পাওয়া যায়। সেজন্য পেয়ারা খোসা ছাড়ার পর কখনোই খাওয়া উচিৎ নয়। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে সর্দি বা কাশির ক্ষেত্রে এটি খাওয়া উচিৎ নয়।
আপেল-
অনেকেই খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে থাকেন, কিন্তু আপনাদের জানিয়ে রাখি যে আপেলের খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার পাওয়া যায়, তাই আপেল ধুয়ে সরাসরি খেতে হবে, খোসা ছাড়ানো উচিৎ নয়।
চিকু-
খোসার সাথে ছোলা খাওয়া হয়। এর খোসায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন পাওয়া যায়। তাই খোসার সাথে চিকু খাওয়া যেতে পারে।
কিউই-
খোসা সহ কিউই খেতে হবে। কারণ কিউইয়ের খোসায় ফাইবার, ফোলেট, ভিটামিন ই-এর মতো উপাদান পাওয়া যায়।তাই খোসার সঙ্গে কিউই খাওয়া উচিৎ ।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment