ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, পেটের নিচের অংশে (মলাশয়ে) লুকিয়ে রাখা আটটি সোনার বিস্কুটসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিএসএফ জওয়ানরা। বিএসএফের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন বর্ডার আউট পোস্ট আমুদিয়া, ১১২ ব্যাটালিয়নের সর্তক জওয়ানরা, ৮টি সোনার বিস্কুট সহ একজন পাচারকারীকে আটক করে, যখন সে সেগুলি শরীরের গহ্বরে (মলাশয়ে) লুকিয়ে নিয়ে আসছিল। বাজেয়াপ্ত করা সোনার বিস্কুটের ওজন ৯৩২ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৪,৭৮,৮৫৫ টাকা। ধৃত পাচারকারীর নাম মাদাই মন্ডল, জেলা উত্তর ২৪ পরগনা।
আটক চোরাকারবারী ও বাজেয়াপ্ত স্বর্ণ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁতুলিয়া কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাস্টম গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আমুদিয়া গ্রামের দিকে যেতে দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থামায়, যখন তাকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হয় তখন পেটের নিচের অংশ পাওয়া যায়। কাছে নিয়ে আসতেই বিপ এর আওয়াজ আসতে লাগল। জওয়ানরা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে সে তার তলপেটে কোনও ধাতু লুকিয়ে রেখেছে কি না, কিন্তু সে অস্বীকার করে। তাড়াহুড়ো করে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসকরা তার এক্স-রে করেন। মেডিক্যাল রিপোর্টে তার পেটে ৮টি সোনার বিস্কুট পাওয়া গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি জানায় সে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের চোরাচালানের সাথে জড়িত। তিনি আরও জানান, এই বিস্কুটগুলো তাকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা রহিম দিয়েছিলেন। পাওয়ার পর সে মলাশয়ে এগুলি লুকিয়ে রাখে। আর এই সোনা তুলে দেওয়ার কথা ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিথারির বাসিন্দা সুরেশের হাতে। এ জন্য তাকে পেতে হয়েছে মাত্র ৩০০ টাকা। কিন্তু সীমারেখা পার হওয়ার আগেই বিএসএফ জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে। ১১২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে এবং অনেকাংশে সফল হয়েছে। চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িতরা ধরা পড়ছে ধারাবাহিকভাবে। তিনি আরও প্রকাশ করেছেন যে বিএসএফ সুরেশকে ধরার চেষ্টা করছে, যিনি সোনার চালানটি গ্রহণ করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment