চাকরির দাবীতে একের পর এক নজিরবিহীন আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। এবারে রাস্তায় হামাগুড়ি দিয়ে চাকরির জন্য কাতর আর্তি জানাতে দেখা গেল উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের। তাদের দাবী, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন। চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, দিদির তাদের কথা শোনা দরকার, এজন্য তারা এই পথ অবলম্বন করেছেন।
তাদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবী করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আরেক চাকরিপ্রার্থী জানান, 'তিনি ৯ বছর থেকে যন্ত্রণায় ভুগছেন। এটা আর সহ্য করা যায় না। রাস্তায় বসে আমরা দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছি।'
তিনি বলেন, ওয়াই চ্যানেলে চাকরির দাবীতে চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। তাদের একটা অংশ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, "একটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯ বছর ধরে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারেনি। হয় আমাদের স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন নয়তো আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।" এই আন্দোলনকারীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “এই স্কুল সার্ভিস কমিশন বেআইনি। আমি তাদের তীব্র নিন্দা জানাই। এখনও, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত প্যানেলটি প্রকাশিত হয়নি। আমরা ২০১৪ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বঞ্চিত।" বিক্ষোভে যোগদানকারী মালদার একজন মহিলা চাকরিপ্রার্থী বলেন যে তিনি ৯ বছর ধরে প্যানেলের জন্য অপেক্ষা করছেন। দুটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরও প্যানেল জারি করা হয়নি।
কেন তারা হামাগুড়ি দিচ্ছেন জানতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা জবাব দেয়, “আমরা ৯ বছরে আমাদের মেরুদণ্ড হারিয়ে গিয়েছে। আমরা মেরুদণ্ডহীন পশুর মতো হয়ে গেছি। এসএসসিতে পাশ করে আমরা কোন অপরাধ করেছি? রাজ্য সরকার কেন শিক্ষিত যুবকদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ করছে?" আন্দোলনে জড়িত চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, "এ বিষয়ে আদালতের কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাহলে কেন এই শিথিলতা?" সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহে এসএসসি পুরো প্যানেল আদালতে হস্তান্তর করতে পারে। অর্থাৎ শিক্ষা বিভাগে উচ্চ প্রাথমিকের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে উৎসাহ যে বেড়েছে তা স্পষ্ট।
No comments:
Post a Comment