বীরভূম সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে গোটা বোলপুর। তার সফরের আগে প্রতিবারের মতো এবারও জেলাজুড়ে দলীয় নেতাদের ছবি, পোস্টার, কাটআউট, তোরণ লাগানো হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম সহ অনেক নেতার ছবি লাগানো হয়েছে, মমতার বীরভূম সফরে অনুব্রত মন্ডলকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। সূত্র বলছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এখন অনুব্রত মণ্ডল থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করেছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, এই সফরে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়িতে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ করেছে।
বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সরকারডাঙা হেলিপ্যাডে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর কঙ্কালিতলা মন্দিরে প্রার্থনা করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের সাথেও দেখা করতে পারেন। রাতে বিশ্রামের পর পরদিন মালদার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বোলপুরের প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছে একটি গেট। শহরজুড়ে পোস্টার, ব্যানার লাগানো হয়েছে, কিন্তু বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, "বর্তমানে জেলা পরিচালনার দায়িত্ব কার?" অনুব্রত মন্ডল বর্তমানে জেলে। অনুব্রত মণ্ডল জেলের ভেতর থেকেই জেলার সংগঠন সামলাচ্ছেন বলে বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ। বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়কেও বহুবার এমন কথা বলতে শোনা গিয়েছে। তবে তৃণমূল বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের সভাপতি বিকাশ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে বীরভূমের সংগঠন পরিচালনা করছে।
এর আগে জেলার নেতাদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়। জেলার সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি, কিন্তু বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রী যখন বীরভূমে আসছেন, তখন সব ব্যানারেই দুজনের ছবি দেখা যাচ্ছে। মমতা ও অভিষেকের সঙ্গে রয়েছেন বিকাশ রায় চৌধুরী ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এই দুজনই আপাতত বীরভূমের সংগঠনের প্রধান ব্যক্তিত্ব।
No comments:
Post a Comment