প্রায় সাড়ে ১৫ বছর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে নতুন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে, ভারত প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিল। সেই একই দেশে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে সাড়ে ১৫ বছর পর আরেক নতুন অধিনায়ক শেফালি ভার্মার নেতৃত্বে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন ভারতের মেয়েরা। প্রথমবার অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল ভারত। ২৯শে জানুয়ারী রবিবার পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারত ৭ উইকেটে শক্তিশালী জয়ে শিরোপা জিতে নেয়। সেই সঙ্গে ভারতের ঝুলিতে এল নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপও।
মিতালি রাজ ও হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ভারতের সিনিয়র মহিলা দলগুলোকে তিনবার বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। এর মধ্যে শেষ হতাশা মিলেছে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই দলে ছিলেন শেফালি ভার্মাও। এটি ছিল তার প্রথম বিশ্বকাপ এবং তখন তাঁর বয়স ১৬ বছরও হয়নি। এই পরাজয়ের প্রায় তিন বছর পর, শেফালি শুধু মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে যে হার পেয়েছিলেন সেটাই পূরণ করেননি, তার সিনিয়রদের কষ্টও উপশম করেছেন।
পচেফস্ট্রুমে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক শেফালি। এই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেট নেন তিতাস সাধু। এরপর চতুর্থ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট পান স্পিনার অর্চনা দেবী। এখান থেকে উইকেটের সিরিজ শুরু হয় এবং ১০তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত ভারত মাত্র ৩৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নেয়। এতে তিতাস ৪ ওভারে ৬ রানে ২ উইকেট নেন, অর্চনাও নেন ২ উইকেট।
শুধু ভারতের বোলিং নয়, ফিল্ডিংও ছিল অসাধারণ। প্রথমে জি ত্রিশা এবং তারপর অর্চনা দুটি আশ্চর্যজনক ক্যাচ করেন, যখন সৌম্যা তিওয়ারি সরাসরি আঘাতে রান আউট হন। সবমিলিয়ে ১৭.১ ওভারে মাত্র ৬৮ রানে ধূলিসাৎ হয় ইংল্যান্ড।
No comments:
Post a Comment