বাংলায় শীতের প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। মাঘ মাসের আগেই কি শীত চলে যাচ্ছে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যদিও ফেব্রুয়ারিতে আবার শীত ফিরবে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। নতুন সপ্তাহের শেষ নাগাদ আবারও তীব্র শৈত্যপ্রবাহে পড়তে পারে বাংলার মানুষ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। সোমবারের মধ্যে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি কমতে পারে। তবে মঙ্গলবার থেকে বুধবার অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবার তাপমাত্রা বাড়বে।
একের পর এক পশ্চিমা ঝঞ্ঝা আসছে। যার কারণে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮-১৯ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকে। বঙ্গোপসাগরে ছিল বিপরীত সঞ্চালন। যার জেরে মাঘের মাঝামাঝি গরমের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে উষ্ণতম জানুয়ারি। যদিও এর আগে তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর গত পাঁচ বছরে ১৫-৩১ জানুয়ারির তাপমাত্রার তথ্য দিয়েছে। এটি যোগ করেছে যে ২০১৯ সালে এই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২০ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২১ সালে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেড়েছে। গত বছর তা কিছুটা নেমে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত যেন হারিয়ে গেছে। যদিও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যাওয়ার আগে তিন-চার দিন ঠান্ডা থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার নতুন সপ্তাহে উৎসাহ থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে। এই সময়ে, কলকাতার তাপমাত্রা প্রায় ১৫ ডিগ্রি কমবে। জেলায় তাপমাত্রার পারদ ১২ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী তিন-চার দিন আবারও শীত পড়তে পারে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপরের উচ্চচাপটি তার শক্তি হারিয়েছে। উত্তর-পশ্চিমের বাতাস ঢুকছে বাংলায়। তবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব উত্তর-পশ্চিম ভারতে থাকবে। আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি।
আজ সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। দিনের বেলা ঠাণ্ডা থাকবে না, তবে অস্থিরতা একটু বাড়বে। রবিবার, শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি।
No comments:
Post a Comment