গবাদি পশুর জন্য সুষম খাদ্যের উপকারিতা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 6 February 2023

গবাদি পশুর জন্য সুষম খাদ্যের উপকারিতা



পশুপালন থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে সুষম খাদ্যের বিকল্প নেই।  সুষম খাদ্য প্রাণীদের বেশি উপকার দেয় কারণ সুষম খাদ্য ছাড়া গবাদি পশুর খুব বেশি বিকাশ সম্ভব নয়।  গবাদি পশুর জন্য একটি সুষম খাদ্যের অর্থ হল খাদ্যে আমিষ, শর্করা, চর্বি, খনিজ, ভিটামিন বা পুষ্টি এবং জলের সঠিক অনুপাত রয়েছে।  আমিষ বা প্রোটিন খাবার অন্ত্রে পরিপাক হয় এবং অ্যামিনো অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়।  পরে তা অন্ত্রে শোষিত হয়ে রক্তে মিশে দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধি করে।


  গবাদি পশুর জন্য একটি সুষম খাদ্যের অর্থ হল খাদ্যে আমিষ, শর্করা, চর্বি, খনিজ, ভিটামিন বা পুষ্টি এবং জলের সঠিক অনুপাত রয়েছে।  গবাদি পশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে সুষম খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  সুষম খাদ্যের অভাবে পশুদের অপুষ্টি এবং বিভিন্ন রোগের আক্রমণ দেখা দেয়।


  আমিষ বা প্রোটিন খাবার অন্ত্রে পরিপাক হয় এবং অ্যামিনো অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়।  পরে তা অন্ত্রে শোষিত হয়ে রক্তে মিশে দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধি করে।  এ কারণে প্রতিটি বয়সেই শরীরের আমিষের প্রয়োজন হয়।  তবে বাড়ন্ত বয়সে এই চাহিদা বেশি।


  জৈব-অনুঘটক এনজাইম মাংসের সাহায্যে শরীরের অভ্যন্তরে তৈরি হয়।  যেমন পেপসিন, ট্রিপসিন ইত্যাদি।  এই এনজাইমগুলি খাদ্যের প্রোটিন, লিপিড এবং কার্বোহাইড্রেটগুলিকে সহজেই হজমযোগ্য পুষ্টিতে ভেঙে দেয় যা কোষগুলি সহজেই শোষণ করতে এবং ব্যবহার করতে পারে।  রক্ত, পেশী এবং সংযোগকারী টিস্যু প্রাণীদেহের প্রধান উপাদান।  খাদ্যের অতিরিক্ত প্রোটিন প্রাণীদেহের শক্তি ও চর্বির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


  কার্বোহাইড্রেট প্রাণীদেহে শক্তি যোগায়।  চিনি অন্ত্রে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়, যা অন্ত্রে শোষিত হয় এবং রক্তে প্রবেশ করে।  অতিরিক্ত চিনি গ্লাইকোজেন আকারে শরীরে জমা হয় এবং খাবারে চিনির অভাব হলে সেই গ্লাইকোজেন প্রয়োজনের সময় শক্তি জোগায়।



স্নেহ প্রাণীদেহের টিস্যুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।  পশুসম্পদ প্রাথমিকভাবে তাপ ও ​​শক্তির উৎস হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়।  গবাদি পশুর খাদ্যে সাধারণত ৪% চর্বি থাকা প্রয়োজন।


  খনিজগুলি ক্রমবর্ধমান প্রাণীদের নতুন হাড় এবং টিস্যু গঠনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  এই উপাদানটি কঙ্কালের আকৃতি এবং শক্তি বজায় রাখে।  পশুর চুল, আঁশ এবং শিং তৈরির জন্য খনিজ পদার্থের প্রয়োজন হয়।  লোহার মত খনিজ পদার্থ রক্তে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বহন করতে সাহায্য করে।  এছাড়াও পটাসিয়াম প্রাণীদের শরীরের তরলের অ্যাসিড-বেস ভারসাম্য বজায় রাখে।


  শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের জন্য অল্প পরিমাণে খাদ্য উপাদান হিসেবে প্রয়োজনীয় জৈব যৌগকে ভিটামিন বলে।  খাদ্যের সঙ্গে পশুদেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ, শর্করা, চর্বি ও খনিজ পদার্থ সরবরাহ করা গেলেও ভিটামিন ছাড়া জীবন সম্ভব নয়।


  টিস্যু স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শারীরিক বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভিটামিন অপরিহার্য।  প্রাণিজ খাদ্যে ভিটামিন না থাকলে বা ভিটামিন সঠিকভাবে শোষিত না হলে বা ভিটামিন শরীরে সঠিকভাবে ব্যবহার না হলে কিছু রোগ দেখা দেয়।  যেমন ভিটামিন 'এ'-এর অভাবে রাতের ঘাম হয়, প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়, ভিটামিন 'কে'-এর অভাবে রক্ত ​​জমাট বাঁধার সমস্যা হয় এবং ভিটামিন 'ই'-এর অভাবে উর্বরতাকে প্রভাবিত করে।স্বল্পতা দেখা দেয়।


  প্রাণীদের দেহের ৭০ থেকে ৯০ শতাংশই জল।  সাধারণত, শস্য খাদ্যে ১০ শতাংশ জল থাকে এবং ঘাসের খাদ্যে ১৫ শতাংশ জল থাকে।  আবার সবুজ ঘাসে জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশ।  চরাতে প্রচুর জল থাকলেও পশুকে আলাদা করে জল দিতে হয়।  কারণ জল শরীরের কোষের শক্ততা ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।  এটি শরীরের গঠন বজায় রাখে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad