প্রেমের কথা আসলেই ভগবান রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমকেই উদাহরণ দেওয়া হয়। দ্বাপর যুগে শ্রী কৃষ্ণ ভগবান বিষ্ণু রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
যেখানে শ্রীকৃষ্ণের পূজো হয়, সেখানে রাধা রানীর পূজোই হবেই। শ্রীকৃষ্ণের আগে নাম আসে রাধা রানীর। তবে ব্রজের ভান্ডিরবনে অবস্থিত মন্দিরটি রাধা-কৃষ্ণের বিয়ের সাক্ষী।
আজ অবধি আমরা রুকমণির সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের বিয়ের গল্প শুনেছি। তবে ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে রাধা ও শ্রী কৃষ্ণের বিয়ের উল্লেখও আছে। এই সূত্রে একবার নন্দবাবা শিশু কানহাকে ভান্ডির নামে এক বনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই বন বৃন্দাবন থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কথিত আছে যে, শ্রীকৃষ্ণ বিহার করা খুব পছন্দ করতেন। তাই হাঁটার সময় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ প্রবল ঝড় আসে। ঝড় থেকে বাঁচতে নন্দবাবা ও কৃষ্ণ একটি গাছের কাছে গেলেন। রাধা রানীও কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসেন।
নন্দবাবা শিশু কৃষ্ণকে রাধা রানীর হাতে তুলে দিয়ে নিজেই সেখান থেকে চলে গেলেন। এর পর কানহা তার ঐশ্বরিক রূপ ধারণ করেন এবং ব্রহ্মা কৃষ্ণকে রাধার সঙ্গে বিয়ে দেন। আজও ভাণ্ডবীরবন রাধা-কৃষ্ণের বিয়ের স্থান হিসাবে পরিচিত।
ভান্ডিরবনে শ্রীকৃষ্ণের একটি প্রাচীন মন্দিরও রয়েছে। এখানে ব্রহ্মার মূর্তিও রয়েছে। এটিই একমাত্র মন্দির যেখানে দেখা যায় শ্রী কৃষ্ণ ও রাধিকার সঙ্গে বিয়ের দৃশ্যে রয়েছে। এই মন্দির সম্পর্কে এমন বিশ্বাস রয়েছে যে নিঃসন্তান দম্পতিরা এখানে এসে স্নান করে পুজো করলে, তারা সন্তানের সুখ লাভ করেন।
No comments:
Post a Comment