'কোন প্রধান, কোন অঞ্চল সভাপতি কী কাজ করছে সেই খবর আমার কাছে আছে', জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কয়েক মাস পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এর আগেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জনসভা করেন তিনি।
এদিন মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, 'যারা ভাবছে যে তৃণমূলকে ভুল বুঝিয়ে নির্বাচনের সময় এক কাজ করব এবং নির্বাচনের পরে আবার জামা পাল্টে তৃণমূলের হয়ে, তৃণমূলের চোখে ধুলো দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আমার স্বার্থ চরিতার্থ করতে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াব, সবার উপর কিন্তু একটা অদৃশ্য চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। নজর কিন্তু আমি রাখছি। সুতরাং কে কোথায় কী কাজ করছেন, কী করছেন না, কে কোথায় কোন অঞ্চলে, কোন প্রধান কী কাজ করছেন, কোন অঞ্চল সভাপতি কী কাজ করছে, সেই খবর আমার কাছে আছে।'
তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'আমি হাজার বার জনসমক্ষে বলেছি, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক এবং আমাদের যদি মাথা নত করতে হয় আমরা জনতা জনার্দনের কাছে মাথা নত করব।' হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'তিন-চারটে নেতা- তাদের রেষারেষিতে যদি দলের মাথা নত হয়, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। আজ আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি। আমি সময় দিচ্ছি, এখনও শুধরান। নইলে যে ওষুধ আমি প্রয়োগ করব, সেই ওষুধে কাজ যখন হবে, তখন আর শুধরানোর সময় আপনি পাবেন না।'
দলীয় কর্মীদের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি এদিনের সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'নির্বাচনের ছাড়াও বিভিন্ন সময় আমি মানুষের কাছে গেছি, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের সীমাবদ্ধতা, এক্তিয়ারের মধ্যে, নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করেছি। সামনে এখন প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার ভোট নেই, পঞ্চায়েত ভোটও তিন মাস দেরি, তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আজ যে জনসভা আমি চাক্ষুষ উপলব্ধি করছি, আমি মনে করি এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ জনসভা। আজ যে ভালোবাসা, স্নেহ এবং যে আশীর্বাদে আপনারা আমাকে আবদ্ধ করলেন, আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি, এই আশীর্বাদের ঋণ সুদ সমেত উন্নয়নের মাধ্যমে আগামী দিনে ফেরত দেব। আমি এক কথার ছেলে, যা বলি তাই করি।' সেইসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, 'এই কেশপুর বিধানসভা এবং এই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয়ের কোন জায়গায় আছে আপনারা নিজেরাও জানেন না।'
No comments:
Post a Comment